১৫ দিন সময় কেটে গিয়েছে। উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেল থেকে এখনও বের করে আনা সম্ভব হয়নি ৪১ জন শ্রমিককে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগার মেশিন ইতিমধ্যেই ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রিলিং। ডাকা হয়েছে সেনবাহিনীকে। সোমবার সকাল থেকে পাহাড় কেটে উল্লম্ব খনন কাজ চলছে। আর ৮৬ মিটার রাস্তা খনন করলেই পৌঁছনো যাবে শ্রমিকদের কাছে। এর মধ্যে ৩৬ মিটার খননকাজ হয়ে গেছে।
ন্যাশানাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ)-র সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল সায়েদ হাসনায়েন বলছেন, বিকল্প ৬টি উপায় ভেবে রাখা হয়েছে। কোনওভাবে যদি উল্লম্ব খননকাজ ব্যর্থ হয়, তাহলে ড্রিফট টেকনোলজিতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হবে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পৌঁছেছেন সিল্কিয়ারায়।
উত্তরকাশীর সিল্ক্যারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে দিনরাত চলছে উদ্ধার অভিযান। এ অভিযানে নানা সমস্যার কারণে টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করতে বিলম্ব হচ্ছে। আমেরিকা থেকে আসা অগার মেশিন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মেশিনও ব্যর্থ হয়েছে। শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।
উত্তরকাশীর টানেলে ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়ার আজ ১৬ তম দিন। এই পুরো অপারেশনের প্রতি মুহূর্তের আপডেট নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই। এদিকে, পরিস্থিতি জানতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র নিজেই আজ সেখানে পৌঁছেছেন। তিনি ছাড়াও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাও। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন তিনি । বর্তমানে উল্লম্ব খনন কাজ চলছে। এখনও ৫৬ মিটার উল্লম্ব ড্রিলিং বাকি আছে।
মাইক্রো টানেলিং বিশেষজ্ঞ ক্রিস কুপার জানিয়েছেন, অগার মেশিনের ভাঙা টুকরোগুলো বের করা হয়েছে। এখন তিন ঘণ্টা পর ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, হাতে ৯ মিটার টানেল তৈরির কাজ এখনও বাকি। কিন্তু, এটা নির্ভর করে সেখানকার জমি কেমন আচরণ করছে তার ওপর। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরকাশীতে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিকের উদ্ধার অভিযানের অবস্থা জানতে সিল্কিয়ারা টানেলে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র। টানেলে ম্যানুয়াল ড্রিলিং কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। মোট ১১ জনের একটি টিম ম্যানুয়াল ড্রিল কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
উত্তরকাশীর সিল্ক্যারা টানেলে চলমান উদ্ধার অভিযানের সময় আমেরিকা থেকে আনা অগার মেশিনটি ব্যর্থ হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে মেশিনের ভাঙা টুকরোগুলি বের করার চেষ্টা করেছিল, যেখানে তারা এখন সফলতা পেয়েছে। অর্থাৎ, অগার মেশিনের আটকে থাকা ব্লেডগুলো গতকাল রাতে পুরোপুরি বের করা হয়েছে। এখন তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে আবারও টানেলের বাকি অংশ খনন কাজ শুরু হতে পারে।
উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সতর্কতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। উল্লম্ব খনন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণের অন্যান্য পদ্ধতিও গ্রহণ করা হচ্ছে। এনডিএমএ সদস্য লে. জেনারেল সৈয়দ আতা হাসনাইনের মতে, সব শ্রমিকরা খাবার ও ওষুধ পাচ্ছেন। চিকিৎসা ও মনোস্ত্বাতিক বিশেষজ্ঞরাও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন এবং নিরন্তর তাদের কাজ করে যাচ্ছেন। সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে চলমান উদ্ধার অভিযানে আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে, এখন শুরু হয়েছে উল্লম্ব খনন পদ্ধতি। ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত খনন করা হয়েছে এবং ৮৬ মিটার পর্যন্ত খনন করতে হবে। স্বস্তির বিষয় যে এখন পর্যন্ত সকল শ্রমিক নিরাপদে আছেন। ছোট পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার ও ওষুধ টানেলের ভিতর পাঠানো হচ্ছে। গত মঙ্গলবার টানেলের ভেতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ছবি প্রকাশ পায়, যাতে সবাইকে নিরাপদে দেখা গেছে।