সিস্টেম বিভ্রাটের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৬০টিরও বেশি বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। গোটা দেশেই বিমানগুলো বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। বুধবার অস্টিন-বার্গস্ট্রম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছে। এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) সিস্টেম পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছে। কারণ, এই ব্যবস্থা চালু না-হলে বিমান চলাচলে বিপদ থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাইলটদের বিপদের ব্যাপারে সতর্ক করা যাচ্ছে না। আপডেট তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আর, সেই কারণেই এফএএ সিস্টেমটি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে।
ইতিমধ্যে লাগাতার চেষ্টার পর সিস্টেমের কিছু অংশ কাজ করা শুরু করেছে। তবে, তা স্বাভাবিক বিমান চলাচলের মত নয়। আর, সেই কারণেই ন্যাশনাল এয়ারস্পেস সিস্টেম অপারেশন সীমিত আকারে কাজ করছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্তই ৭৬০টিরও বেশি বিমান চলাচলে বিলম্ব হয়েছে। বিলম্বের কারণ খোলসা না-করে এমনটাই জানিয়েছে বিমান চলাচলের ওয়েবসাইট 'ফ্লাইট অ্যাওয়ার'। শুধু বিমান চলাচলে দেরি হওয়াই নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ও বিদেশে যাতায়াতের কথা ছিল, এমন ৯১টি বিমান বাতিলও করা হয়েছে।
বিমানের পরিভাষায় 'গ্রাউন্ড স্টপ' করে রাখা হয়েছে বিমানগুলো। তাদের ওড়ার অনুমতি দেয়নি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা অস্থায়ীভাবে সমস্ত ডোমেস্টিক ফ্লাইট দেরি করে ছাড়বে বলে জানিয়েছে। আসলে তারা এফএএর থেকে বার্তা পাওয়ার অপেক্ষা করছে বলে এই বিমান সংস্থাটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অস্টিন-বার্গস্ট্রম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বার্তায় জানিয়েছে, বিমান চলাচলে ঠিক কতক্ষণ দেরি হবে, তারা বলতে পারছে না। সিস্টেম ঠিকঠাক না-হলে গোটা বুধবারই এমনটাই চলবে।
আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব আইন ৬এ-র সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট, কী এই ধারা?
আর, মার্কিন বিমান সংস্থা এফএএ তাদের বার্তায় জানিয়েছে, এখনও NOTAM সিস্টেম ঠিকঠাক হয়নি। যাবতীয় চেষ্টা চলছে, যত দ্রুত সম্ভব সিস্টেম ঠিকঠাক করার। কিন্তু, এখনও সিস্টেমে গোলমাল শুরু হওয়ার আগের তথ্যগুলোও দেখাচ্ছে। নতুন কোনও তথ্য সিস্টেম আপডেট করছে না। সিস্টেম ঠিকঠাক থাকলে দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য বিস্তারিত তথ্য থাকার কথা। যেখানে রানওয়ে বন্ধ থাকা, পাখির চক্কর কাটা নিয়ে সতর্কবাণী, নির্মাণকাজের দরুণ সৃষ্টি হতে পারে এমন সতর্কবাণী দেওয়া থাকে।
Read full story in English