Advertisment

মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরাট সাফল্য বাহিনীর, সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৩০ জঙ্গির মৃত্যু

বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"CAPF suicide data, Central Armed Police Force suicide data, government on CAPF suicides, Assam Rifles suicide data, CRPF suicide data, Government data on jawans suicide, BSF suicide data, Ministry of Home Affairs data on Armed forces suicide, indian military suicide data, india news indian express

রবিবার মণিপুরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ৩০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি বলেন, 'নিরীহ এবং সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে জঙ্গিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে ত্রাস তৈরি করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে তাই নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়। এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকায় অন্ততপক্ষে ৩০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতারও করেছে।'

Advertisment

পার্বত্য রাজ্যকে অস্ত্রমুক্ত করে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তারপরই বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জঙ্গিরা। জবাবে এই জঙ্গিদের মৃত্যু হয়েছে বলেই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। বীরেন সিং জানান, ইম্ফল উপত্যকার আশপাশের বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় রবিবার ভোর থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। জঙ্গিরা পালটা ইম্ফল পশ্চিমের উরিপোকে বিজেপি বিধায়ক খোয়াইরাকপাম রঘুমণি সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাঙচুর করে। বিধায়কের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে মধ্যে মণিপুর প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, 'আমাদের তথ্য অনুযায়ী, কাকচিংয়ের সুগনু, চুরাচাঁদপুরের কাংভি, ইম্ফল পশ্চিমের কাংচুপ, ইম্ফল পূর্বের সাগোলমাং, বিষেনপুরের নুঙ্গোইপোকপি, ইম্ফল পশ্চিমের খুরখুল এবং কাংপোকপিতে ওয়াইকেপিআই জঙ্গিরা গুলি চালিয়েছে। মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত এলাকায় রাস্তা আটকানোর চেষ্টা হয়েছে।

আরও পড়ুন- দুর্গন্ধে টেকা দায়, হাসপাতালের মর্গে উপচে পড়ছে দেহ, মণিপুর হিংসায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়েই জল্পনা

অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, মেইতেই সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপ কাকচিং থানা থেকে অস্ত্র লুঠ করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। মণিপুরে জাতিদাঙ্গায় ইতিমধ্যেই সম্প্রতি ৭৫ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। মেইতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ৩ মে পার্বত্য এই রাজ্যের পার্বত্য জেলাগুলোয় উপজাতিরা বিক্ষোভ দেখান। তারপরই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেই হিংসা থামাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অসম রাইফেলসের প্রায় ১৪০টি কলাম বা প্রায় ১০,০০০ সশস্ত্র জওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদেরও উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে।

Security force Death Clash Manipur
Advertisment