Advertisment

এলগার পরিষদকাণ্ডে জোরালো মাওবাদী যোগ, ধৃত আরও ১

আনন্দের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার শিবাজী পাওয়ার। আজই ধৃতকে পুনের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। আনন্দকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Anand Teltumbde , আনন্দ তেলতুম্বড়ে

আনন্দ তেলতুম্বড়ে। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এলগার পরিষদকাণ্ডে আরও স্পষ্ট হল মাওবাদী যোগ। এ ঘটনায় এবার গ্রেফতার করা হল গোয়ার এক অধ্যাপককে। আনন্দ তেলতুম্বড়ে নামের ওই অধ্যাপকের সঙ্গে মাওবাদী যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গোয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আনন্দকে গ্রেফতার করেছে পুনে পুলিশ। শুক্রবারই আনন্দের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় পুনের আদালত। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দর থেকে আনন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisment

আনন্দের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার শিবাজী পাওয়ার। আজই ধৃতকে পুনের বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে। আনন্দকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে পুলিশ।

আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ: চার্জশিট জমা দেওয়ার সময় বাড়াল আদালত

অন্যদিকে, শুক্রবার পুনের আদালতে আনন্দের আগাম জামিনের আবেদনের আর্জি খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘‘অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি...সেজন্য , এই মুহূর্তে অভিযুক্তকে মুক্ত করা যাবে না।’’মাওবাদীদের হয়ে আনন্দ যে কাজ করত, তার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে অবশ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে আনন্দকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এর আগে এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আনন্দ। গত ১৪ জানুয়ারি আনন্দের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে নিম্ন আদালত থেকে জামিনের জন্য তাঁকে ৪ সপ্তাহ সময় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপরই পুনের আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান আনন্দ।

Advertisment

আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ: সোমা সেন সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পাঁচহাজার পৃষ্ঠার চার্জশিট

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অগাস্ট যে ৭ জন সমাজকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল পুনে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আনন্দ। এঁদের মধ্যে ৪ জন ইতিমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আরেক অভিযুক্ত গৌতম নভলখা গ্রেফতারি এড়িয়েছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রক্ষা পেয়েছেন গৌতম। রাঁচির স্ট্যান স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গত বছর জুনে আরও ৫ সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুনে পুলিশ। ওই ৫ জনও বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের ২০০ বছর পূর্তির আগের দিন পুনেতে একটি অনুষ্ঠান ঘিরে হিংসা ছড়ায়। হিংসার জন্য এলগার পরিষদই দায়ী বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে এ মামলায় মাওবাদী যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুনে পুলিশ।

Read the full story in English

national news
Advertisment