সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে শনিবারের নৃশংস গেরিলা হামলায় এক কোবরা জওয়ানকে অপহরণ করেছে মাওবাদীরা। শনিবারের এই হামলায় ২২ জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। বস্তারের আইজিপি পি সুন্দররাজ রবিবার একটি বিবৃ্তিতে জানিয়েছেন, রাকেশ্বর সিং মানহাস নামে এক কোবরা জওয়ান নিখোঁজ। জম্মুর বাসিন্দা ওই জওয়ানকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছে বলে আশঙ্কা পুলিশের।
বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলোচন কাশ্যপ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সোমবার জানিয়েছেন, "আমাদের কাছে খবর রয়েছে যে, মাওবাদীরা ওই জওয়ানকে অপহরণ করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।" তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হামলার স্থলে নিরাপত্তা রক্ষীরা হতাহতদের দেহ উদ্ধারে আসেন। কিন্তু মানহাসকে কোথাও খুঁজে পাননি তাঁরা। তৎক্ষণাৎ সিআরপিএফ, জেলা পুলিশ সূত্রদের ফোন করে মানহাসের তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ নেই তাঁর।
"রবিবার সন্ধে থেকে আমাদের বিভিন্ন সূত্র মারফত আমরা খবর পাচ্ছি, ওই জওয়ান এখনও বেঁচে আছেন। তাঁকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছে। তবে কীভাবে তাঁকে তুলে নিয়ে গেছে, কোথায় নিয়ে গেছে তার খোঁজ চলছে। এখন ওঁকে ফিরিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য।" জানিয়েছেন যৌথবাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক। অন্যদিকে, সিআরপিএফ সদর দফতরের কমান্ড্যান্ট পিসি গুপ্তা সোমবার দুপুরে জম্মুতে অপহৃত জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি পরিবারকে আশ্বস্ত করেছেন, যৌথবাহিনী সবরকম চেষ্টা করছে মানহাসকে খুঁজে বের করার, কিন্তু এখনও কোনও সূত্র মেলেনি।
এদিকে, গতকাল সকালে মাওবাদীরা স্থানীয় দুই সাংবাদিককে ফোন করে জানায়, মানহাস তাদের কবজায় রয়েছে। বিকল্প নামে দণ্ডকারণ্যের এরিয়া মুখপাত্র তাঁদের জানিয়েছেন, মানবাস গুরুতর আহত হয়েছেন, কিন্তু তাঁর শুশ্রুষা করেছে মাওবাদীরা। এখন সে সুস্থ রয়েছে। তাঁর ক্ষতি করার কোনও উদ্দেশ্য নেই মাওবাদীদের। আর তিনদিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে মাওবাদীরা। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে যৌথবাহিনী। অপহৃত জওয়ানের খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।