Live-In Partner Murder: লিভ-ইন পার্টনারকে খুন! আটমাস ধরে ফ্রিজেই দেহ। হাড়হিম টনায় উত্তাল দেশ।
আট মাস ধরে ফ্রিজে দেহ লুকিয়ে রেখেও অবশেষে পুলিশের জালে প্রেমিক। প্রবল আক্রোশে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে সেই দেহ ফ্রিজে ভরে রাখেন প্রেমিক সঞ্জয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সামান্য ভূলে পর্দা ফাঁস। পুলিশের জালে অভিযুক্ত। সব শুনে চোখে কপালে দুঁদে গোয়েন্দাদের।
মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস থেকে সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যেখানে এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে তার দেহ প্রায় আট মাস ধরে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সন্দেহ, গত বছরের জুন মাসে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছিল।
শুক্রবার ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় পাতিদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফ্রিজের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় মহিলার পচাগলা দেহ। মহিলার শরীরে তখনও তার গয়না এবং শাড়ি পরা ছিল, হাত বাঁধা ছিল এবং তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়াতেই বন্ধুর সাহায্যে নিজের লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে সঞ্জয়। খুনের পর মহিলার দেহ ফ্রিজে ভরে রাখেন অভিযুক্ত।
দেওয়াসের পুলিশ সুপার পুনীত গেহলট সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "ওই মহিলার বয়স প্রায় ৩০ বছর। আমাদের সন্দেহ, ২০২৪ সালের জুন মাসে তাকে খুন করা হয়েছে। দুর্গন্ধ আসতে শুরু করায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপরই বাড়ির মালিককে ফোন করে, বিষয়টি জানান। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় রেফ্রিজারেটরে ভিতর মহিলার মৃতদেহ। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।"
এই ঘটনা মনে করে দিয়েছে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলা। যেখানে আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে তার সঙ্গীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার এবং তারপর তার দেহ টুকরো টুকরো করার অভিযোগ ওঠে।