পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল একটি মারুতি কোম্পানির গাড়ি। এনআইএ তদন্তদল এ কথা জানিয়েছে। সোমবার এনআইএ জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারির পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি ছিল মারুতি ইকো। একই সঙ্গে এনআইএ জানিয়েছে, গাড়িটির মালিক কাশ্মীরের অনন্তনাগের এক বাসিন্দা।
পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে ধাক্কা মারে আত্মঘাতী জৈশ-এ-মহম্মদ জঙ্গি আলিম দার। এ ঘটনায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামা হামলার কথা মোদী আগেই জানতেন: মমতা
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত গাড়ির ভগ্নাবশেষ নিয়ে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। গোয়েন্দারা সেগুলি পাঠান ফরেন্সিক তদন্তের জন্য। পাঠানো হয় অটোমোবাইল বিশেষজ্ঞদের কাছেও। এই তদন্তের ফলেই বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়িটির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।
শেষবার এই গাড়িটি বিক্রি করা হয়েছিল অনন্তনাগের বিজবেহারার বাসিন্দা সাজ্জাদ ভাটের কাছে। সাজ্জাদ ফেব্রুয়ারি থেকে আত্মগোপন করে আছে। তদন্তদল সাজ্জাদের জৈশ-এ-মহম্মদে যোগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন, পুলওয়ামার ঘাতক গাড়ির খোঁজ মিলল
এক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সাজ্জাদ সোপিয়ানের সিরাজ উল লুমের ছাত্র। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সহায়তায় তার বাড়িতে হানা দেওয়া হয় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। সে সময়ে সাজ্জাদ বাড়িতে ছিল না। তখন থেকেই সে গ্রেফতারি এড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় একটি ফোটোতে অস্ত্র ধারণকারী সাজ্জাদকে দেখা যাচ্ছে।
এই গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি করা হয়েছিল ২০১১ সালে অনন্তনাগের হেভেন কলোনির বাসিন্দা জলিল আহমেদ হাক্কানির কাছে। মোট সাতবার এই গাড়িটির হাতবদল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গাড়িটি পৌঁছয় সাজ্জাদের হাতে।
এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, গাড়িটির চেসিস নম্বর MA3ERLF1SOO183735 এবং এঞ্জিন নম্বর হল G12BN164140।