লকডাউনের ৩৩তম দিনে দ্বিতীয়বার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। করোনার বিরুদ্ধে ভারতবাসীর লড়াইকে কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করারও চেষ্টা করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে মোদী বললেন, 'বর্তমানে সভ্য সমাজের প্রতীক হয়ে উঠেছে মাস্ক।'
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীর মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের মাস্ক পরতেই হবে। এটা আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সভ্য সমাজের প্রতীক হয়ে উঠেছে মাস্ক। এটা নয়া বাস্তব। মাস্কের ব্যাপারে আমাদের ধারণা আরও বদলে যাবে। ভাইরাস থেকে নিজেকে ও অন্যান্যদের রক্ষা করতে চাইলে মাস্কের ব্যবহার খুবই জরুরি।' প্রকাশ্যে থুতু ফেলারও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'আমরা সবাই বুঝতে পারছি রাস্তায় থুতু ফেলা খারাপ। তাই এই অভ্যাস আমাদের ছাড়তে হবে।' পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রেও জোর দেন তিনি।
বহু দেশবাসী করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতন নন। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'আমরা যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী না হই। আমরা যেন না ভাবি, আমাদের বাড়ি, অফিস বা এলাকাতে কোভিড ঢুকতে পারবে না। তাই আমাদের কখনও অসতর্ক হলে চলবে না। দু’গজ দূরী বহুত হ্যায় জরুরি।'
'করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই হল জনগণের লড়াই। এই লড়াই মানুষ ও প্রশাসন একসঙ্গে লড়েছে। আমরা ভাগ্যবান যে দেশের সব মানুষ যোদ্ধাদের মতো এই লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।' এদিন 'মন কি বাতে' এই মন্তব্য করেই দেশবাসীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন- LIVE: মুম্বই-পুনেতে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি, দেশে করোনা আক্রান্ত ২৬ হাজারের বেশি
করোনা মহামারী উৎসব পালনের রীতিই বদলে দিয়েছে। ঘরে বসেই এখন উৎসব পালন করতে হচ্ছে। মোদীর কথায়, 'গত বছর রমজানে আমরা ভাবিইনি এবার এরকম কিছু হতে পারে। আমাদের সংযত হয়ে রমজান পালন করতে হবে। পরে মাসে ঈদ উদযাপনের সময় যাতে বিশ্ব করোনাভাইরাস মুক্ত হয় তার জন্য প্রার্থনা করুন।'
মহামারী মোকাবিলায় রাজ্যগুলির ভূমিকার প্রশংসায় মোদী। বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় রাজ্য সরকারগুলির তৎপর ভূমিকার জন্য আমি তাদের প্রশংসা করি।' স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় অদ্যাদেশের উল্লেখ করে মোদী জানিয়েছেন, 'স্বাস্থ্যকর্মীদের যারা আক্রমণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কঠোর আইন করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরাইকরোনা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই তাঁদের সুরক্ষায় এই ধরনের আইন খুব জরুরি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন