চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে হুলস্থূল! গার্লস হোস্টেলের ৬০ পড়ুয়ার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্লস হোস্টেলে থাকা ৬০ জন ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে ৮ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলেও খবর। সকলেই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা বলে ছাত্রীদের অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত এক ছাত্রীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রী স্বীকার করেছে যে সে একটি ভিডিও তৈরি করে সিমলায় তার পরিচিত একজনকে সেই ভিডিও পাঠায়। এরপরই ভাইরাল হয়ে যায় সেই আপত্তিকর ভিডিও। এই ঘটনায় ছাত্রীরা হাতে মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে সামিল হন।
সূত্রের খবর, যেসকল ছাত্রীর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তারা সকলেই এমবিএ-এর ছাত্রী। ছাত্রীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে ভিডিও তৈরি করে তার বন্ধুকে পাঠাচ্ছিল। এদিন এক পড়ুয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও দেখেন। তার পরেই শুরু হয় তোলপাড়।
আরও পড়ুন : < বাঁশেই বাজিমাত! শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় কলকাতার ট্রাম পাড়ি দিল মার্কিন মুলুকে >
এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরে, সকল ছাত্রী হোস্টেল খালি করে বেরিয়ে আসেন। তারা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিতে থাকেন। গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বর কার্যত পড়ুয়াদের হেফাজতে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।
যদিও ছাত্রীদের অভিযোগ তাদের শান্ত করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। এরপর সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয়। ছাত্রীরা জানায়, তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই বিষয়ে পাঞ্জাব মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মনীষা গুলাটি বলেছেন, খুব শীঘ্রই ইন্টারনেট থেকে ভিডিওগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে।