কৃষ্ণ জন্মভূমি আর শাহি ইদগাহর মধ্যে বিরোধ আরও একধাপ এগোল। মথুরা আদালত ২০ জানুয়ারি মসজিদ কমপ্লেক্সের সমীক্ষার রিপোর্ট চেয়েছে। ওই স্থান কৃষ্ণ জন্মভূমি। তাই সেখান থেকে শাহি ইদগা মসজিদের স্থানান্তর চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলাতেই মথুরা জেলা আদালত ২০ জানুয়ারির মধ্যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক শাহি ইদগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সের ওপর ওই সমীক্ষা করবেন।
আবেদনকারীদের আইনজীবী শৈলেশ দুবে শনিবার জানান, দায়রা আদালতের বিচারক সোনিয়া ভার্মা বালকৃষ্ণ এবং অন্যান্যরা বনাম ইন্তজামিয়া কমিটির মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে আগামী মাসে অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। এর আগে বিচারক গত ৮ ডিসেম্বর রাজস্ব বিভাগের আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে তিনি উভয়পক্ষকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন- ভারতকে জুড়তে গিয়ে টানা হাঁটাহাঁটিতে রোগা হয়েছেন, বেজায় খুশ রাহুলের সঙ্গীরা
সেই সময় বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু, ২২ ডিসেম্বর বিচারক নিজেই ছুটিতে থাকায় শুনানি হতে পারেনি। তাই শনিবার মামলার শুনানি হল। আইনজীবী শৈলেশ দুবে জানিয়েছেন, কাটরা কেশব দেব মন্দির ভেঙে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্টের ১৩.৩৭ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে শাহি মসজিদ ইদগাহ। সেই শাহি মসজিদ ইদগাহ স্থানান্তরের জন্যই ৮ ডিসেম্বর সিভিল জজের আদালতে বালকৃষ্ণ ও অন্যরা মামলা করেছেন।
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির অংশবিশেষ ভেঙে শাহি মসজিদ ইদগাহ তৈরি হয়েছিল। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ১৯৬৮ সালে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা এবং শাহি মসজিদ ইদগাহের মধ্যে 'সমঝোতা' হয়েছিল। সেই সমঝোতাকেও এই মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এর আগে রামজন্মভূমি বিতর্ক আদালতে অবসানের পরও এখনও সেই বিতর্ক পুরোপুরি মেটেনি। প্রস্তাবিত বিকল্প মসজিদ ও তার পরিমণ্ডল তৈরির জন্য প্রস্তাবিত নকশাকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়নি প্রশাসন। তাই এখনও নির্মাণকাজ আটকে রয়েছে।
Read full story in English