লোকসভার আগে বড়সড় ধাক্কা খেলেন বিএসপি সুপ্রিমো। মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালে উত্তরপ্রদেশে নিজের এবং দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতির মূর্তি বসিয়েছিলেন রাজ্য জুড়েই। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত শুক্রবার প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে, জনতার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে মায়াবতীকে। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ জানানোর একদিনের মাথায় প্রতিক্রিয়া জানালেন বিএসপি প্রধান। টুইট করে বিজেপি এবং গণমাধ্যমের উদ্দেশে মায়াবতীর বার্তা, "আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত আনন্দ করার কিছু নেই"।
সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বেঞ্চ জানিয়েছে এই প্রসঙ্গে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হল আগামী ২ এপ্রিল। তবে পরবর্তী শুনানিতেও শীর্ষ আদালতের রায় এরকমই হবার সম্ভাবনা, সে ব্যাপারে আভাস পাওয়া গিয়েছে।
বিএসপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা কাশিরাম, নির্বাচনী প্রতীক হাতি এবং নিজের বেশ কিছু মূর্তি গড়িয়েছিলেন মায়াবতী। সঙ্গে একাধিক দলিত নেতার স্মৃতিসৌধও। লখনউ, নয়ডা, এবং উত্তরপ্রদেশের আরও কয়েকটি শহরে এই সমস্ত মূর্তি তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ২৬০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন, শিলং-এ কাদের প্রশ্নের মুখে পড়বেন রাজীব কুমার?
জনতার টাকায় দলের অথবা নিজের প্রচার করা যাবে না, এই আবেদন জানিয়েছিলেন এক আইনজীবী। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে নিজেদের অবস্থান জানায় শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং সঞ্জীব খান্না জানিয়েছেন, "প্রাথমিক ভাবে আমরা মনে করছি মায়াবতীকে জনতার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে আগামী ২ এপ্রিল"।
এর আগে ভিজিল্যান্স বিভাগের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল স্মৃতিসৌধ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যসরকারের ১১১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ভিজিল্যান্স বিভাগের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ইডি আর্থিক তছরুপ দমনমূলক আইনের আওতায় ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। মায়াবতী, বাবু সিং কুশওয়াহা সহ মোট ১২ জন বিএসপি নেতার নাম জড়িয়েছিল স্মৃতিসৌধ কেলেঙ্কারিতে।
Read the full story in English