যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর রবিববার দেশে ফিরলেন। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘দ্রুত এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।’’
বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী এম জে আকবর বিদেশসফরে থাকাকালীনই গত সপ্তাহের গোড়ার দিকে তাঁর নাম ওঠে মিটু প্রচার আন্দোলনে। বেশ কিছু মহিলা, যাঁরা মূলত সাংবাদিক, তাঁরা অভিযোগ করেন একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক থাকাকালীন তাঁদের যৌন লাঞ্ছনা করেছেন এম জে আকবর। কংগ্রেস সহ বেশ কিছু বিরোধীদল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আকবরের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন, #MeToo: মুখ খুললেন মন্দাক্রান্তা সেন
বিজেপি এ নিয়ে নীরবতা বজায় রাখলেও, পার্টির অভ্যন্তরের অনেকেই মনে করেন আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি গুরুতর। বিজেপি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। ‘‘এখন যা পরিস্থিতি, তাতে উনি নিজে ওঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেন এবং সরকারের ওপর ওঁর পদত্যাগ নিয়ে কী পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হয়, তার ওপরেই বিষয়টি নির্ভর করছে। সরকার ও দল উভয়েই বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।’’
এর আগে বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছিলেন অভিযোগের উত্তর দেওয়ার দায় আকবরের নিজের। মুম্বইয়ে ফিকি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্মৃতি বলেন, ‘‘যাঁরা এখন কথা বলছেন, তাঁদের বিচার করবেন না। তাঁরা কেউ মা, কেউ কন্যা, কেউ স্ত্রী। তাঁরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং তাঁদের পক্ষে কথা বলাটা যথেষ্ট দুরূহ।’’ আকবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শাসকদলের নেত্রী বলেন, ‘‘যাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁরই এ ব্যাপারে বিবৃতি দেওয়া সাজে। যেহেতু আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না, ফলে আমার পক্ষে এ নিয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’
আরও পড়ুন, #MeToo ঝড় সামাল দিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, তৈরি হবে আইনি প্যানেল
’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম, চলচ্চিত্র ও বিনোদন জগত এ মুহূর্তে ভেসে যাচ্ছে মি টু প্রচারের জোয়ারে। তার মধ্যে এম জে আকবরই প্রথম রাজনৈতিক নেতা, যিনি যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত হয়েছেন।