হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত। আরব দেশগুলো ইতিমধ্যেই নূপুর শর্মার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। তবে, তার চাপে একচুলও বেঁকতে নারাজ নয়াদিল্লি। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য, এসব ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত মন্তব্য গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক নয়। আইনগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নূপুর শর্মাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নেবে। কিন্তু, সেটা সম্পূর্ণই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ইসলামিক দেশগুলোর হস্তক্ষেপ যে সেই ব্যাপারে মানা হবে না, কার্যত তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লির অবস্থানে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, 'যে টুইট ও কমেন্টগুলো করা হয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন নয়। এই ব্যাপারে যারা জানতে চেয়েছেন, তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য ও টুইট যারা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহল ব্যবস্থা নিয়েছে। এই বিষয়ে তাই বাড়তি কিছুই বলার নেই।'
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহল দাবি করেছে, ইরানের সঙ্গে এই ব্যাপারে অজিত দোভালের কথা হয়েছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী হুসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান পয়গম্বরের সম্পর্কে মন্তব্য নিয়ে দোভালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। তাঁকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আশ্বাস খুশি হয়েছে ইরানের প্রশাসন। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে দাবি করেছেন যে এমন কিছুই ঘটেনি। যাঁরা এই দাবি করছেন, তাঁরা কোথাও একটা পড়ে সেই অনুযায়ী দাবি করছেন। কিন্তু, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন- কীভাবে ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, কারা ভোট দেন, কোন ভোটের কী গুরুত্ব
বিজেপি অবশ্য ইতিমধ্যেই পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় দলের নেত্রী নূপুর শর্মা ও নবীনকুমার জিন্দালকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই নিয়ে সাম্প্রদায়িক কারণে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো মাথা গলাবে, তা যে কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে মোদী সরকার।
Read full story in English