বৃহস্পতিবার গাজা শহরে ইজরায়েলি বিমান হামলার পর ধোঁয়া উঠছে। (ছবি: এপি)
হামাস ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র গঠনের পর থেকে সম্ভবত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলায় ইজরায়েলি নাগরিকদের নিশানা করার প্রায় এক সপ্তাহ পর, তেল আবিবের প্রতিশোধের জেরে গাজায় মৃত্যুসংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গাজা ইস্যুতে মুখ খুলেছে ভারতীয় বিদেশ দফতর। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ফের জানিয়েছেন যে নয়াদিল্লি হামাসের হামলাকে 'জঙ্গি হামলা' হিসেবেই দেখছে।
Advertisment
একইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য প্যালেস্তাইন ইস্যুতে তার বিবৃত নীতি পুনরায় জানিয়েছে। এ ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার বলেন, 'প্যালেস্তাইন সম্পর্কে বলা যায়, ভারত ইতিমধ্যেই সুরক্ষিত এবং স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে বসবাসকারী সার্বভৌম, স্বাধীন প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইজরায়েলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করার কথা বলেছে।' এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই উভয়পক্ষের ২,৫০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
Advertisment
ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর তাদের প্রথম ফোনালাপে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবারই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন যে, 'ভারতের মানুষ এই কঠিন সময়ে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি প্রকাশ করেছে।' নেতানিয়াহুকে 'ফোন কল করার জন্য এবং চলমান পরিস্থিতির আপডেট দেওয়ার জন্য' ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী পরে X বার্তায় একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'ভারত দৃঢ়ভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে।' প্রধানমন্ত্রী মন্তব্যটি তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ইজরায়েলকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করা এবং আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে তার পদক্ষেপকে সমর্থন করার কথা বলা হয়েছে। তবে, এর আগে পর্যন্ত টুইটগুলিতে প্যালেস্তাইন নিয়ে কোনও কথা উল্লেখ করা হয়নি। একটি শক্তিশালী কৌশলগত অংশীদারিত্বের কাঠামোতে গত এক দশকে ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। মোদী এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে ব্যক্তিগত রসায়ন তাঁদের দ্বিপাক্ষিক ব্যস্ততায় ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে ইজরায়েলকে ভারতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা অংশীদার বলেই মনে করে নয়াদিল্লি।