অনশন ওঠার ২১ দিনের মাথায় হস্টেল কাউন্সেলিং-এর তারিখ পেল মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা। গত শনিবার হস্টেল কমিটির মিটিং-এ কর্তৃপক্ষ জানান, আগামী ১৮ অগাস্ট হস্টেল কাউন্সেলিং হবে। ইতিমধ্যেই হস্টেলের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে ছাত্ররা, হস্টেল ভ্যাকেন্সি কত আছে, কতজন আবেদনকারী, কোন ইয়ার, কত দূরে বাড়ি, সবটা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষের তরফেও তালিকা বানানো হয়ে গিয়েছে। আজ সোমবার তার প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ করবে কলেজ। যদিও যে তালিকা প্রকাশিত হবে তা নিয়ে শঙ্কিত ছাত্ররা। পাশাপাশি ছাত্ররা জানাচ্ছেন, বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে কাউন্সেলিং-এর তারিখ কার্যত আদায় করতে হয়েছে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মেইন বয়েজ হস্টেলের সাফাইয়ের কাজ। ছাত্ররাই জানাচ্ছেন সবদিকটা এখনও পুরোপুরি সামলে উঠতে না পারলেও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই তৎপর হস্টেলের নতুন সুপার। তবে ছাত্রদের অভিযোগ, যেটুকু সাফাই হয়েছে, সবটাই প্রাথমিক। ঘরের বেড পরিবর্তন, নতুন ডাস্টবিন আনার কাজ চলছে এখন। কিন্তু যেগুলো সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যেমন বেহাল সিলিং মেরামত, নোংরা বাথরুম পরিষ্কার, আলো বসানো, এসবের কোনও ব্যবস্থা এখনও হয়নি।
আরও পড়ুন: আন্দোলন শেষ, কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের উন্নতি নিয়ে এখনও নীরব কর্তৃপক্ষ
গত সপ্তাহেই অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, কিছুদিনের মধ্যেই হস্টেল কাউন্সেলিং-এর কাজ শুরু করা হবে। অধ্যক্ষ এই আশ্বাস দিলেও ছাত্রদের একাংশ মনে করছিলেন কাউন্সেলিং না হওয়ারই সম্ভবনা বেশি। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, শুধু মেইন বয়েজ হস্টেলেই নয়, মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত সুপারদেরই চেয়ার বদল হয়েছে। নতুন হস্টেল ভবনের সুপারের দায়িত্ব পেয়েছেন কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক নির্মাল্য মান্না। পার্থপ্রতিম ঘোষকে দেওয়া হয়েছে গিরিবাবু হস্টেলের দায়িত্ব। মেইন বয়েজ হস্টেলের সুপার হয়েছেন সমুদ্র গুপ্ত। উল্লেখ্য, ২০ অগাস্ট থেকেই শুরু হচ্ছে দুই বর্ষের সেমিস্টার। তাই স্বাভাবিকভাবেই যত দ্রুত সম্ভব সমস্যার সমাধান চাইছেন তাঁরা। এখন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন ছাত্ররা।