রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অকপটে সেই কথা স্বীকার করে নেওয়া হয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে। ব্যালট ছাড়া খালি খাম, ভুল নামে ব্যালট পাঠানো ইত্যাদি একাধিক অভিযোগ ওঠে এই বছরের নির্বাচনে। সে কথা অস্বীকার করেননি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের আইনজীবী।আইনজীবীর বক্তব্য, এই ভুলগুলি ইচ্ছাকৃত নয়, ব্যালট পাঠানোর দায়িত্ব যাঁদের দেওয়া হয়েছিল এই ভুল তাঁদেরই। এদিন ভুল সংশোধনের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, যাঁদের নাম শিক্ষক তালিকায় থাকার কথা নয় তাঁদের নাম রয়েছে শিক্ষক তালিকার ভোটারে, ব্যালট ছাড়া খালি খাম পৌঁছেছে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে, ভুল নামেরও ব্যালট পাঠানো হয়েছে ভোটারদের। এখানেই শেষ নয়, ভোটার লিস্টে প্রায় ৪০০-র ওপর নাম রয়েছে যাঁরা চিকিত্সক শিক্ষক এবং চিকিত্সক নন। এ সমস্ত অভিযোগের সপক্ষে তথ্য প্রমাণও দাখিল করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে দুর্নীতি বন্ধ করতে অনলাইন ভোটের দাবী
প্রার্থীদের দাবি, রিটার্নিং অফিসার ও যাঁদের অঙ্গুলি হেলনে এই নির্বাচনে মিথ্যাচার চলছে, তার জন্য তাঁরা অপসারণ এবং বিভাগীয় তদন্ত চান। পাশাপাশি কোর্ট দ্বারা নিযুক্ত আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসক সংগঠনগুলি।
নির্বাচনকে ঘিরে কাউন্সিলের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে এবং তার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ১৩ অগস্টের মধ্যে হলফনামা জমা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। আগামী ১৩ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আপাতত সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিরোধী পক্ষের চিকিৎসকরা।