Advertisment

শাহের ডাকা বৈঠকেও বরফ গলল না, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় কৃষকরা

"কোনও সংশোধনী নয়, আমরা চাই আইন বাতিল চাই", সাফ জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেও বেরল না সমাধান সূত্র। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড়ই থাকলেন কৃষক নেতারা। মঙ্গলবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হয় ১৩ জন কৃষক নেতার। মঙ্গলবার ভারত বনধে গোটা দেশেই সাড়া মেলে। কেন্দ্রের ডাকা ষষ্ঠ দফার বৈঠকের একদিন আগেই কৃষক নেতাদের আলোচনায় ডেকে জল্পনা বাড়ান অমিত শাহ। সন্ধে ৭টায় দিল্লিতে নিজের বাসভবনে বৈঠক ডাকেনন শাহ, এমনটাই জানান, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত। এদিকে, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা আজ, বুধবার বিকেল পাঁচটার সময় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাহুল গান্ধী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ পাঁচ জন প্রতিনিধি।

Advertisment

আজই ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসার কথা কেন্দ্র ও কৃষক পক্ষের। কৃষকরা জানিয়েছেন, আগে তাঁরা কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব আলোচনা করে দেখবেন তারপর বৈঠকে যাবেন। এদিনই সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। সেখানেও কৃষকদের দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কৃষকদের দাবি, সরকার আইনে সংশোধন করার প্রস্তাব দিয়েছে, তার মানে এই যে সরকার আইন বাতিলের পথে হাঁটবে না। শাহের সঙ্গে ঘণ্টা তিনেকের বৈঠকের পর সিপিএম নেতা তথা সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, "এদিনের বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকার আইন বাতিল করবে না। তবে সরকার আইনে সংশোধনীর কথা লিখিত আকারে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সংশোধনী নয়, আমরা চাই আইন বাতিল। আমরা সংশোধনী মানব না।"

আরও পড়ুন ‘পুরনো আইন দিয়ে নয়া শতাব্দী গড়া যায় না’, কৃষক বিক্ষোভের আবহে বার্তা মোদীর

মঙ্গলবার তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ডাকে ভারত বনধে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ভারত বনধে প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। বিভিন্ন জায়গায় চলে রেল ও সড়ক অবরোধ। অবরোধের জেরে হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও সকাল থেকে বনধের প্রভাব পড়েছে। এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ‘চাক্কা জ্য়াম’ করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়ায় একাধিক রাজনৈতিক দল। তবে, কৃষকরা শর্ত দেন নিজেদের ব্য়ানার ছেড়ে বনধে শামিল হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এই বনধকে সমর্থন জানায় ১৫টি দল। ভারত বনধকে সমর্থন জানায় কংগ্রেস, এনসিপি, ডিএমকে, আপ, আরজেডি, সপা, বসপা, উপত্য়কার গুপকর দল, বামেরা। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। তবে, যেহেতু মমতা সরকারের নীতি বনধ বিরোধী। তাই তারা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবে। মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে ধর্না কর্মসূচির ডাক দেন তৃণমূলনেত্রী।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

amit shah Farm Law Farmers Movement
Advertisment