/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/kumbh.jpg)
ইউনেস্কোর তালিকায় এটি পৃথিবীর মধ্যে ধর্মের উদ্যেশে শান্তিপূর্ণ জমায়েত।
মোট বাজেট কম করে ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি। অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তর অনুষ্ঠান কুম্ভমেলা। কুম্ভমেলার এবারে অন্য়তম আকর্ষণ মিউজিয়াম। ১৫ একর জমি জুড়ে তৈরি হচ্ছে সেটি। যার পুরোটা জুড়ে থাকবে ভারতীয় সংস্কৃতি। বাহুবলী সিনেমার সেট ডিজাইনারের হাতেই দেওয়া হয়েছে মিউজিয়ামের নকশা তৈরির গুরুদায়িত্ব। প্রচারের জন্য নিয়ে আসা হবে একটি আন্তর্জাতিক ব্যালে টিম। যারা অভিনব কায়দায় গঙ্গাবক্ষে মিউজিয়াম সহ কুম্ভ মেলার প্রচার করবে। সূত্রের খবর পৃথিবী সর্বত্র কুম্ভমেলার আঁচ পৌছে দিতে তুঙ্গে তোলা হবে প্রচার।
গত কুম্ভ মেলার পর ন মাস কেটে গেছে। ইউনেস্কোর তালিকায় এটি পৃথিবীর মধ্যে ধর্মের উদ্যেশে শান্তিপূর্ণ জমায়েত। ভারতের বর্তমান সরকার ইতি মধ্যে পরিকল্পনা করেছে, আগামী বছরে জানুয়ারি মাসে ভারতে আয়োজিত হবে বৃহত্তম কুম্ভ মেলা।
ভারতের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেন, "ইউনেস্কো সম্মানের পর, আমরা এটি ভারতের বৃহত্তম কুম্ভ মেলায় তৈরি করতে যাচ্ছি। এটি সারা বিশ্ব থেকে অনেক দর্শকদের নজর কাড়বে পাশাপাশি এটি আন্তর্জাতিক ইভেন্টের সঙ্গে টেক্কা দেবে।"২০১৬ সালে, উজ্জয়িনীতে যখন মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হয়, খরচ হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। তারপরে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সবচেয়ে বড় বাজেটের কুম্ভমেলা।
আরও পড়ুন:হাজার বর্গফুট জুড়ে শুধুই বাংলা বই
সূত্রের খবর, এবছরের মিউজিয়ামের খাতে খরচ হয়েছে ১০০ কোটি। বাকি বরাদ্দ টাকা অনুষ্ঠানের আয়োজনে ব্যয় হবে। আরএসএস-অনুমোদিত শঙ্কর ভারতী জানিয়েছেন, নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি। বাকি ২০০ কোটি উত্তরপ্রদেশ সরকারের তহবিল ও কর্পোরেট স্পনসর থেকে এসেছে।
“এই মিউজিয়ামের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাহুবলীর সেট ডিজাইনারের কাঁধে। মিউজিয়ামে প্রবেশদ্বার তৈরি হবে অজন্তা গুহার আদলে। গোটা মিউজিয়াম ঘুরে দেখতে সময় লাগবে ঘড়ির কাঁটা ধরে তিন ঘণ্টা। এই মিউজিয়াম ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে আপনাদের সামনে”। বলেছেন আরএসএস কার্যালয়ের এক কর্মী।
"ডেড লাইন ডিসেম্বর। এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সেরে ফলতে হবে। সম্প্রতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মিউজিয়াম তৈরির কাজ।"বলেছেন সংগঠনের এক কর্মী।পাশাপাশি সরকারিভাবে তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা দেশ জুড়ে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলির শিল্পীদের এখানো যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রায় ১০০ জন কলাকুশলী অংশগ্রহণ করবে এই কুম্ভ মেলায়। আঞ্চলিক ললিত কলা অ্যাকাডেমিকে অনুষ্ঠানের জায়গা বেছে নেওয়ার জন্য এবং তাকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুষ্ঠানে রামলীলা ও কৃষ্ণলীলা দেখানো হবে, সঙ্গে থাকবে গঙ্গা বক্ষে আন্তর্জাতিক শিল্পীদের ব্যালে নাচ।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ড থেকে সমাজ, বিজ্ঞান যেখানে যেমন; আলোচনায় ডঃ সব্যসাচী সিদ্ধান্ত
কুম্ভ মেলায় প্রায় ১৫ কোটি মানুষ জমায়েত হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবছর কুম্ভ মেলার জন্য ১০,০০০ একর খোলা জায়গার বন্দবস্ত করা হয়েছে। প্রচারের জন্য ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। প্রচারের জন্য প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদেশে ভারতের বিভিন্ন দফতর এবং দূতাবাসকেও এই প্রচারের কাজে নিয়োজিত করা হবে বলে জানান সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী কে জে আলফনস।