Advertisment

নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে উত্তাল উপত্যকা, গৃহবন্দী মেহবুবা মুফতি, ঘটনাস্থলে যেতে বাধা

গৃহবন্দী মেহবুবা মুফতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mehbooba mufti house arrest poonch civilians death

মেহবুবা মুফতি বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি জীবনই বিপদের মধ্যে রয়েছে এবং জিওআই সমস্ত কিছুকে কার্পেটের নীচে ব্রাশ করতে চায় কারণ স্থল বাস্তবতা তাদের জাল বর্ণনাকে পাংচার করবে।" (এক্সপ্রেস ফাইল ছবি শুয়াইব মাসুদির)

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় তিন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যুতে তোলপাড়।  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধান মেহবুবা মুফতিকে সোমবার সুরানকোটে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। 

Advertisment

শুক্রবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় দুটি সেনা গাড়ি লক্ষ্য করে জঙ্গিরা হামলা চালায়।  ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী আটজন সাধারণ নাগরিককে আটক করে। যার মধ্যে তিনজনকে রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর পরই গোটা এলাকায় স্থানীয়দের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতর্কিতে হামলায় চার সেনা নিহত হয়।

রবিবার, মুফতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেনক,  “জঙ্গি অতর্কিত হামলায় পাঁচ জওয়ান শহীদ হয়েছেন, সেনাবাহিনীর হেফাজতে তিনজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে নির্যাতন করা হয়েছে। যার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে এখনও হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন"। 

নিহতরা হলেন সাফির হোসেন (৪৩), মহম্মদ শওকত (২৭) ও শাব্বির আহমেদ (৩২)।জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির প্রতিশ্রুতির ঘোষণা করেছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। সন্দেহভাজন পরিস্থিতিতে তিনজনের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে, যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনাবাহিনী আটক করে ।

পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতি দাবি করেছেন যে সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছে এবং বাকিরা গুরুতর আহত হয়েছে। শনিবার সাংবাদিকদের মেহবুবা বলেন, ‘পুঞ্চে হামলার পর সেনাবাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তোপা পিয়ার গ্রাম থেকে ১৫ জনকে আটক করেছিল, যার মধ্যে এনকাউন্টার সাইটের কাছে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। যাদের দেহে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। বাকি ১২ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিন মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুমোদনের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন। ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) শনিবারও এই ইস্যুতে বিক্ষোভ করেছে। দলীয় কর্মীরা ‘নিরপরাধদের রক্তপাত বন্ধের’ দাবিতে কর্তৃপক্ষের কাছে স্লোগান তোলেন। কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

 তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার জন্য সেনাবাহিনী একটি কোর্ট অফ ইনকোয়ারির (সিওআই) নির্দেশ দিয়েছে।

J&K পুলিশ পুঞ্চের সুরানকোট থানায় এই ঘটনায় এফআইআরও দায়ের করেছে। সেনাবাহিনীর তরফে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালানো সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত জঙ্গিদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

অতর্কিতে হামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনী আট সাধারণ মানুষকে আটক করে তাদের মধ্যে তিনজনকে রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।

বাকি পাঁচ  নাগরিককে আহত অবস্থায় রাজৌরির একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের নির্যাতন করা হয়েছিল।

শনিবার, যদিও J&K প্রশাসন তিন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে মন্তব্য করেনি। সেনাবাহিনী বলেছে যে বিষয়টি তদন্তাধীন।  

এদিকে, J&K পুলিশ তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু এবং অন্য পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় পুঞ্চের সুরনকোট থানায় IPC ধারা 302 (খুন) এবং 307 (খুনের চেষ্টা) এর অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।

jammu and kashmir
Advertisment