পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি ভারতের নাগরিকত্ব ছাড়লেন। কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণার দায়ে ভারতে প্রত্যর্পণ এড়াতেই চোকসির এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে হীরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি এবং ভাগ্নে নীরব মোদী, দুজনের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। মাস খানেক আগেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনায় মেহুলের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল ইন্টারপোল।
নীরব মোদী এবং মামা মেহুল চোকসি, দুজনেই পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১১৪০০ কোটি টাকার ঋণখেলাপী মামলায় অভিযুক্ত।গত বছর চিকিৎসাগত কারণ দেখিয়ে দেশ ছাড়েন চোকসি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে দেশ থেকে পালিয়েছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন চোকসি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়ে অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন মেহুল। আদালতকে এই হীরে ব্যবসায়ী আগেই জানিয়েছিলেন, পিএনবি কাণ্ডে নাম জড়ানো ভাগ্নে নীরব মোদীর সঙ্গে তাঁর কোনও তুলনা চলে না। দু'জনের বিরুদ্ধে মামলাও সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আরও পড়ুন, চৌকিদারকে সরাতে চাইছে চোর, মমতার ব্রিগেড প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মুকুল
সিবিআই--এর অনুরোধে তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। কিন্তু অ্যান্টিগুয়ার সঙ্গে ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। সেই সুবিধে নিতেই ওই দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন চোকসি, অভিযোগ এমনটাই। তবে সে দেশের আইনে কমনওয়েলথ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিতে পলাতক প্রত্যর্পণের ধারা রয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই মেহুল চোকসিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছিল ভারত।
অন্যদিকে, পিএনবি কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত নীরব মোদীকেও দেশে ফেরাতে হিমশিম অবস্থা তদন্তকারীদের। মামার মতো তিনিও কিছুদিন আগে দেশে ঘটে চলা একের পর এক গণপিটুনির প্রসঙ্গ টেনে আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁর দেশে না ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করেন। দেশে গণপিটুনির প্রসঙ্গ টেনে নীরব যেভাবে তাঁর দেশে না ফেরার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন তা কার্যত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে আদালতে জানায় ইডি। ইডি সূত্রে আরও জানানো হয় যে, বহু ই-মেল ও সমন পাঠানো সত্ত্বেও তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছেন নীরব মোদী। উনি এ দেশে ফিরতে চান না বলে মনে করছে ইডি।
Read the full story in English