তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অ্যান্টিগার গোপন আস্তানায় বসে এই দাবি করল ১৩৬০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি।
সংবাদসংস্থা এএনআই এই তারিখহীন ভিডিওটি প্রকাশ করেছে, যেখানে মেহুল বলেছে, ‘‘ইডি যেসব অভিযোগ এনেছে, সেগুলি ভুয়ো, ভিত্তিহীন। কোনও কারণ না থাকা সত্ত্বেও ওরা আমার সম্পত্তির উপর বেআইনি ভাবে আক্রমণ করছে।’’
এএনআই-য়ের পাঠানো একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন হিরে ব্যবসায়ী মেহুল।
চোকসি দাবি করেছে তার পাসপোর্ট যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার চেষ্টা করেছিল সে। চোকসি বলেছে, ‘‘পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ আমার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করায় আমি প্রায় অচল হয়ে পড়েছি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে পাসপোর্ট অফিস থেকে আমায় মেল করে জানানো হয় যে ভারতের নিরাপত্তার আশঙ্কা থাকায় আমার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি আমি মুম্বইয়ের পাসপোর্ট অফিসে মেল করে আমার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্তি রদ করার অনুরোধ জানাই। এখনও পর্যন্ত সে মেলের উত্তর পাইনি।’’
কেন তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, সে নিয়ে তাকে কিছু জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ করেছে, পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত।
চোকসির বক্তব্য, ‘‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস আমার পাসপোর্ট কেন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, বা আমি দেশের নিরাপত্তার পক্ষে কেন আশঙ্কাজনক, সে নিয়ে আমায় কিছুই জানায়নি। যেহেতু আমার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, আমার পক্ষে সে পাসপোর্ট সারেন্ডার করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’
মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস জারির অনুরোধ বেশ কয়েক মাস ধরে বকেয়া রয়েছে। চোকসি অ্যান্টিগা ও বার্বুডার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং সম্প্রতি কোনও ক্যারিবিয়ান দেশে লুকিয়ে রয়েছেন বলে খবর। সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়েছে সে দেশের কাছে।
এর আগে সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে চোকসির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির অনুরোধ জানালে মেহুল চোকসি ভারতের জেলের অবস্থা খুব খারাপ- এই যুক্তিতে তার বিরোধিতা করেছিল।