দহনে পুড়ছে দিল্লি। তাপপ্রবাহে নাজেহাল অবস্থা। রেকর্ড গরমে হিমশিম খাচ্ছেন বাসিন্দারা। রবিবার হরিয়ানা সীমানা লাগোয়া মুঙ্গেশপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুরগাঁওয়ে তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৬ সালের মে মাসের পর এই বছরই এমন রেকর্ড গরমের সাক্ষী হল দিল্লি। রাজধানীতে দাবদাহের অন্যতম বড় কারণ বৃষ্টির ঘাটতি বলে মনে করা হচ্ছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আপাতত তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে চলবে দহনজ্বালা। বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তল্লাশির নামে গুলি চালাল পুলিশ, মহিলাকে খুনের দায়ে পুলিশেরই বিরুদ্ধে এফআইআর
রেকর্ড গরমের নাজেহাল দিল্লি। মুঙ্গেশপুরে তাপমাত্রা ৪৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। নাজাফগড়ে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৯.১ডিগ্রি। গতকাল সাফদারজং-এ তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। গুরগাঁওয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে প্রায় নয় ডিগ্রি বেশি। নয়ডায় গতকালের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৭.১ ডিগ্রি। সোমবারও জারি করা হয়েছে তাপ প্রবাহের সতর্কতা। সাফদারজং মানমন্দিরে, ২৯ মে, ১৯৪৪-এ রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানমন্দিরে রবিবারের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৩ সালের চলতি মাসের এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: আসান হবে না আগামী, দেওয়াল লিখন আসানসোল, গভীর অঙ্কে অর্জুনের চোখ
আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের মতে চলতি বছরে বর্ষা না হওয়ার কারণেই গরমের এই বাড়বাড়ন্ত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝড় ঝঞ্ঝা অব্যাহত থাকলেও দিল্লিতে তার সেরকম প্রভাব না পড়ার কারণে দিল্লির গরম মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়েছে। আবহাওয়া-বিদরা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দিল্লির তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। তবে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে নামবে বলে বিশেষ আশাবাদী নন তাঁরা।
Read full story in English