'আপনাদের সাহস এবং ধৈর্য অনুপ্রেরণাদায়ক,' উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ শ্রমিককে মঙ্গলবার এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দীর্ঘ ১৭ দিন তিনি গোটা উদ্ধার অভিযান নিরীক্ষণ করেছেন। উদ্ধার অভিযানের খুঁটিনাটির খবর নিয়েছেন। গত ১২ নভেম্বর থেকে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটকে ছিলেন এই শ্রমিকরা। মঙ্গলবার উদ্ধারকারী দল এই নির্মাণ শ্রমিকের কাছে সফলভাবে পৌঁছতে সক্ষম হয়। তাঁদের উদ্ধার করে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিলেন। গোটা উদ্ধার অভিযানকে অগ্নিপরীক্ষার সঙ্গে তুলনা করে শ্রমিকদের সাহস এবং ধৈর্যের প্রশংসা করলেন।
আরও পড়ুন- শেষ পর্যন্ত এল সাফল্য, উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার বাংলার তিন-সহ ৪১ শ্রমিক
প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, 'আমি সুড়ঙ্গে আটকে পড়া বন্ধুদের বলতে চাই, আপনাদের সাহস এবং ধৈর্য সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আপনাদের সকলের মঙ্গল ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। এটি অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় যে দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের এই বন্ধুরা এখন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে এই সমস্ত পরিবার যে ধৈর্য এবং সাহস দেখিয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়। আমি সকলের উদ্যমকেও প্রণাম জানাই। এই উদ্ধার অভিযানের সাথে জড়িত লোকেদের সাহসিকতা এবং দৃঢ়তা আমাদের শ্রমিক ভাইদের নতুন জীবন দিয়েছে। এই অভিযানের সাথে জড়িত প্রত্যেকেই মানবতা এবং দলগত কাজের বিচারে একটি আশ্চর্যজনক উদাহরণ তৈরি করেছেন।'
আরও পড়ুন- সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিক উদ্ধারে সাফল্যের পিছনে বিশেষ পদ্ধতি, কী এই ‘ব়্যাট হোল মাইনিং’?
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য স্বস্তি এবং আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল একাধিক বিপত্তির মধ্যে কাজ করেছে। উদ্ধারকারীদের এই ১৭ দিনের শ্রম, এক বিরাট 'ধৈর্যের প্রমাণ।'
আরও পড়ুন- উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটক বাংলার ৩, অপেক্ষায় পরিবার, কী পদক্ষেপ মমতার?
রাষ্ট্রপতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বার্তায় লিখেছেন, 'উত্তরাখণ্ডের একটি টানেলে আটকে পড়া সব শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে জেনে আমি স্বস্তি ও আনন্দ বোধ করছি। ১৭ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই শ্রমিকরা কষ্ট করেছেন। কারণ, তাঁদেরকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এই লড়াই মানুষের ধৈর্যের প্রমাণ। জাতি তাঁদের স্যালুট জানায়। তাঁরা (এই শ্রমিকরা) বাড়ি থেকে অনেক দূরে ব্যক্তিগত ঝুঁকি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ করছেন। সেই জন্য তাদের প্রতি দেশবাসী কৃতজ্ঞ। আমি উদ্ধারকারী দল এবং সমস্ত বিশেষজ্ঞদের অভিনন্দন জানাই, যাঁরা অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা এবং সংকল্পের সঙ্গে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন উদ্ধার অভিযানগুলোর একটি সম্পাদন করলেন।'