Advertisment

#MeToo: লড়াই জারি থাকবে, জানিয়ে দিলেন এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা পাঁচ সাংবাদিক

মন্ত্রী আকবরের বিরুদ্ধে নাম না করে প্রথম অভিযোগটি আনেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তারপর একে একে মুখ খুলতে থাকেন বাকিরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

আকবরের পক্ষে মোট ছয় সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজেপি মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। দেশের বাইরে থাকায় প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি হওয়ার কারণ দেখিয়ে এম জে আকবর রবিবার জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা মহিলা সাংবাদিকদের সব অভিযোগ মিথ্যে। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বলেো জানিয়েছেন এই প্রাক্তন সাংবাদিক। আকবরের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ওই পাঁচ সাংবাদিক জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। দুই সাংবাদিক বলেন, মন্ত্রীর বিবৃতিতে তাঁরা আদৌ অবাক হননি।

Advertisment

এশিয়ান এজ-এর সাংবাদিক সুপর্ণা শর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমি ওঁর বিরুদ্ধে যে দুটি ঘটনার ভিত্তিতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলাম, তা থেকে সরছি না। আবারও বলছি, উনি অনেকের সঙ্গেই এমনটা করেছেন। ওঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’’

রবিবার মন্ত্রী জানান, "আইনজীবীরা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবেন এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ স্থির করবেন"

আরও পড়ুন, #Me Too: সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার এম জে আকবরের, অভিযোগকারিণীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে যাচ্ছেন বিজেপি মন্ত্রী

গোটা বিষয়টির পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন আকবর। তিনি বলেছেন, ‘‘সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই কেন এ নিয়ে এত ঝড় বইতে শুরু করল? আপনারাই বিচার করুন। এই ভুয়ো ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ আমার সুনাম ও মর্যাদার পক্ষে হানিকর।’’ তাঁর তোলা এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। নিউইয়র্কের সাংবাদিক ম্যাজিলি দে পাই ক্যাম্প। তিনি জানিয়েছেন, "আমি তো ভোট দিতে পারি না। আমার কী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে? পাই ক্যাম্পের অভিযোগ তিনি ২০০৭ সালে ইন্টার্নশিপ করার সময় বর্তমান বিজেপি মন্ত্রী তাঁকে জোর করে চুমু খান।

মন্ত্রী আকবরের বিরুদ্ধে নাম না করে প্রথম অভিযোগটি আনেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। তারপর একে একে মুখ খুলতে থাকেন বাকিরা। রবিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে প্রিয়া জানান, "আকবর নির্লজ্জ হতে পারেন। ওঁর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করিনি, আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কারোর যদি থেকে থাকে, সেটা ওর নিজের। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে কথা বলছি"।

সাংবাদিক কনিকা গালোট ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত আকবরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন তিনিও তাঁর অভিযোগে অনড় থাকছেন।

টুইট করে যৌন হেনস্থার অভিজ্ঞতা মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সাংবাদিক সুতপা পাল জানিয়েছেন, "আমাদের লড়াইটা প্রতিটা মেয়ের জন্য, তাদের ন্যায় বিচার চেয়ে। যাঁরা দৈনন্দিন জীবনে অথবা কর্মক্ষেত্রে লাঞ্ছনার শিকার হন, সেই সব মেয়েদের লড়াই"।

Advertisment