কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা আটকানোর জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাগুলিকে শক্তপোক্ত করতে বুধবার বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মহিলার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ও তার প্রেক্ষিতে আকবরের পদত্যাগের পর এই ঘটনা ঘটল। কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলির দিকে নির্দেশিত বর্তমান আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি কীভাবে আরও মজবুত করা যায় এবং বর্তমান ব্যবস্থাগুলিকে কীভাবে আরও যথাযথ উপায়ে কার্যকর করা যায়, সে ব্যাপারে সুপারিশ করবে এই মন্ত্রিগোষ্ঠী।
মন্ত্রিগোষ্ঠীর শীর্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ ছাড়া ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি, এবং নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেক গান্ধী। গঠনের তিন মাসের মধ্যে এই মন্ত্রিগোষ্ঠী কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং তাকে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করা যায় সে ব্যাপারে তাদের সুপারিশ জানাবে।
#Metoo আন্দোলন শক্তিশালী হওয়ার পরে পরেই মানেকা গান্ধী এই আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছিলেন, এবং জানিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রক বরিষ্ঠ বিচারবিভাগীয় এবং আইনজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে, যে কমিটি যৌন হেনস্থার ইস্যু খতিয়ে দেখবে। এব্যাপারে আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও অনুরোধ জানান তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তার প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, বিশাখা রায়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি, কংগ্রেস সহ কোনও রাজনৈতিক দলই তাদের প্রধান দফতরে আভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি গঠন করেনি। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি আইনের ৪ নং ধারায় স্পষ্ট বলা রয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান মহিলা কর্মী নিয়োগ করে, তাদের সকলকেই একজন সিনিয়র মহিলা কর্মীর নেতৃত্বে একটি আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করতে হবে।
নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রক ইতিমধ্যেই ‘SHe-Box’ নামের একটি ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেন বক্স চালু করেছে, যার মাধ্যমে যে কোনও মহিলা কর্মী কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা নিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানাতে পারবেন।
Read Full Story in English