লকডাউনে পরিযায়ীরা শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেছে। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে একশ দিনের কাজের চাহিদা। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, দেশের ১২ জেলায় চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত শ্রম দিবস বৃদ্ধির হার বার্ষিক কর্ম দিবসের লক্ষ্যমাত্রাকে পেরিয়ে গিয়েছে। মহামারীর কারণে একশ দিনের কাজে অদক্ষ শ্রমিকের যোগান বৃদ্ধিকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে।
কৃষি এলাকে থেকে শিল্পাঞ্চল, উপকীয় অংশের চার রাজজ্যের ১২ জেলায় অতিরিক্ত কর্ম দিবস তৈরির প্রয়োজন দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মীরজাপুর ছাড়া এ রাজ্যের কোনও জেলার নাম ১১৬টি জেলার তালিকায় নেই। এই ১১৬ জেলা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকদের গন্তব্য বলে বিবেচিত হয়েছে। গত ২০ জুন এই ১১৬ জেলায় কেন্দ্রী গরীব কল্যাণ প্রকল্পের সূচনা করেছে।
একশ দিনের প্রকল্পে এক সমীক্ষায় প্রকাশ, ৬৯৩ জেলার মধ্যে ১২ জেলায় চলতি অর্থবর্ষে জুলাইয়ের মধ্যেই শ্রম দিবসের সংখ্যা সম্পূর্ণ বছরের জন্য নির্ধারিতর চেয়ে বেশি। এই জেলাগুলো হল, অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরম, গুজরাটের ভাবনগর, দাহোদ, গির সোমনাথ, তেলেঙ্গানার, ওয়ানাপারথি, করিমনগর, ইয়েদাদরি, ভূবনগিরি, ওরাঙ্গাল ও মেদচাল এবং উত্তরপ্রদেশের বিন্দল শবর ও হাতরাস।
উদাহরণস্বরূপ, গুজরাটের ভাবনগরে ৯.৭৬ লাখ শ্রম দিবস সম্পূর্ণ বছরের জন্য নির্ধারিত ছিল। তবে, এখনই তা বেড়ে হয়েছে ১৮.১৫ লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই যা দ্বিগুণের বেশি। উত্তরপ্রদেশের হাতরাসে বার্ষিকহারে নির্ধারিত ছিল ৯,৫০,০০০ শ্রম দিবস। ইতিমধ্যেই তার হার ১.৬৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯,৬৫,৯২১।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের জেলাশাসক প্রবীণ কুমার লক্কর জানিয়েছেন যে, '১৯.৫ লাখ বসতির এই জেলায় স্বাভাবিক সময়ে বার্ষিক ৮ লাখ শ্রম দিবসের প্রয়োজন হয়। এবার এখনই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। কাজের চাহিদা মেটাতে একশ দিনের প্রকল্পের সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজ যুক্ত করেছি। আরও কি কি কাজ ৪৭৪ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একশ দিনের প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন