প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই প্রথম ঘটল এমন ঘটনা। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ)-র আওতায় দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য এবং অঙ্গরাজ্যেই মনরেগা মজুরি কমে গেল রাজ্যের ন্যূনতম মজুরির পরিমাণের চেয়ে।
হিসেব বলছে, কেন্দ্র নির্ধারিত মনরেগা মজুরি এবং রাজ্য নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির মধ্যে এত তফাতও ২০০৯ সালে প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের গত বছরের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩৫টির মধ্যে ২৮টি রাজ্য এবং অঙ্গরাজ্যে মজুরি বৃদ্ধির হার যৎসামান্য। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে এই প্রকল্প চালু নয়।
দেশের এক এক রাজ্যে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পের ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। তবে কেন্দ্র নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির তুলনায় সবচেয়ে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে যে সমস্ত রাজ্যে, তাদের মধ্যে অন্যতম গোয়া, গুজরাত, ত্রিপুরা, তেলেঙ্গানা, সিকিম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা। এই সমস্ত রাজ্যে এমজিএনআরইজিএ-র মজুরি ন্যূনতম মজুরির তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন, বাংলা সহ ছয় রাজ্যে বাড়ছে না শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি
গোয়ায় মনরেগা মজুরি দৈনিক ২৫৪ টাকা। অথচ এখানকার ন্যূনতম মজুরি দৈনিক ৪০৯ টাকা। ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে মনরেগা মজুরি দৈনিক ১৭১ টাকা। এখানকার দৈনিক মজুরি যথাক্রমে ২৩৯ টাকা এবং ২৪৬ টাকা।
ইন্দিরা গান্ধী ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের ডিরেক্টর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানালেন, "শ্রমিককে তাঁর ন্যূনতম মজুরিটুকু দিতেই হবে। তাই প্যানেলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল প্রথম পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য নির্ধারিত মজুরিতে সামঞ্জস্য রক্ষা করা উচিত"।
তবে এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় অর্থ মন্ত্রক। বর্তমানে মনরেগা দৈনিক মজুরি সর্বোচ্চ হরিয়ানায়, দৈনিক ২৮৪ টাকা। অন্যদিকে ন্যূনতম মজুরি দেশের পাঁচটি রাজ্যে দৈনিক ৩৭৫ টাকা অথবা তার বেশি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে দলের ইস্তেহার প্রকাশের সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জানিয়ে দিলেন ক্ষমতায় এলে ১০০ দিনের বদলে মনরেগা হবে ১৫০ দিনের।
Read the full story in English