Advertisment

হিল স্টেশনে পর্যটকদের বেপরোয়া আচরণ! ভীত কেন্দ্রের ৮টি রাজ্যের সঙ্গে জরুরি কোভিড বৈঠক

Covid Tourism: করোনাবিধি শিথিল হতেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে দেশের শৈল শহরগুলোতে। সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid Tourism, MHA, Corona meet

ধরমশালায় উপস্থিত অনেক পর্যটকদের মুখে নেই মাস্ক।

Covid Tourism: করোনাবিধি শিথিল হতেই পর্যটকদের ঢল নেমেছে দেশের শৈল শহরগুলোতে। সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোকে পর্যটক প্রবেশে নজরদারি বাড়াতে বৈঠক করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশের ৮টি পর্যটকবান্ধব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিব। এই বৈঠকের বার্তা, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও বিদায় নেয়নি। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকুটি। তাই পর্যটক প্রবেশে কড়া কোভিডবিধি লাগুক করুক রাজ্যগুলো। মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব এবং নাইট কার্ফু (যদি বলবৎ থাকে) মানতে পর্যটকদের বাধ্য করুক সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।‘

Advertisment

স্বরাষ্ট্রসচিব একে ভাল্লা এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণের উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, গোয়া, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের স্বাস্থ্যকর্তারা।এই বৈঠকে আইসিএমআর ডিজি ভিকে পল-সহ ৮ রাজ্যের ডিজিও উপস্থিত ছিলেন।  

সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলের মতো রাজ্যগুলো হোটেল-আবাসে ৫০% সর্বাধিক অতিথি প্রবেশ বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। কিছু রাজ্য টিকাকরণের সার্টিফিকেটের ওপর জোর দিতে চলেছে।সম্প্রতি একাধিক সংবাদমাধ্যমে শৈল শহরগুলোতে পর্যটকদের বেপরোয়া মনোভাবের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেই ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র সচিব। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ রোধ-সহ টিকাকরণে রাজ্যগুলোর অবস্থান জানতে চেয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কোন রাজ্য করোনা নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই রাজ্যের প্রবেশ এবং প্রস্থান পথে সরকারই নির্দেশিকা-সহ বিল বোর্ড টাঙান হবে। সেই বোর্ড ঝুলবে সংশ্লিষ্ট পর্যটনস্থলেও। এমনকি, একসময়ে কোনও এক বিশেষ পর্যটনস্থলে কত মানুষে উপস্থিতি, সেই হিসেব রাখবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘রাজস্থানে ফোর্ট,লেক, বাজার, হিমাচল-উত্তরাখণ্ডের জলপ্রপাত, হিল স্টেশন, লেক এবং বাজার, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্সিয়াং আর গোয়ার বিচে নজরদারি বাড়াতে আবেদন করা হয়েছে।‘  পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে রাজ্যগুলোকে পাঁচটি পথ বাছতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। পরীক্ষা- সংক্রমণ-চিকিৎসা-টিকাকরণ (টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট-ভ্যাক্সিনেট) এবং করোনাবিধি পালন। এই পন্থা অবলম্বন করেই করোনার আগামি ঢেউ থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

MHA health Ministry Tourist Spot Hill Stations
Advertisment