Missionaries of Charity: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের পর এবার আটকে গেল মিশনারিজ অফ চ্যারিটির লাইসেন্স নবীকরণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুত্রে এই খবর দেওয়া হয়েছে। ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিাআরএ-র অধীনে মাদার টেরেজার সংস্থার তরফে লাইসেন্স নবীকরণে আবেদন করা হয়েছিল। এনজিও হিসেবে এই আবেদন জমা পড়েছিল অমিত শাহের মন্ত্রকে। ২৫ ডিসেম্বর সেই আবেদন খারিজ করেছে মন্ত্রক। এই পদক্ষেপের পিছনে যুক্তি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, ‘যোগ্যতামান পূরণ করতে না পারায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির লাইসেন্স নবীকরণ আবেদন খারিজ করা হয়েছে।‘
জানা গিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বৈধ চলতি লাইসেন্স। এদিকে, তদন্তের নামে কেন্দ্রের নির্দেশে ফ্রিজ বা বন্ধ করে দেওয়া হল মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। দাবানলের মতোন এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ট্যুইটারে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘বড়দিনের আবহে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই খবর শুনে আমি স্তম্ভিত। ওদের ২২ হাজার কর্মী এবং রোগী খাবার এবং ওষুধ ছাড়া দিন কাটাচ্ছেন। আইন সবার ঊর্ধ্বে হলেও, মানবিক কাজ বন্ধ রাখা উচিত নয়।‘
যদিও এই খবরের সত্যতা নিয়ে কলকাতার মাদার হাউজ বা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি কোনও মন্তব্য করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট ঘিরে খবরের সত্যতা নিয়ে চলছে জল্পনা। ১৯৫০ সালে মানবিক কাজকে সামনে রেখে খোদ মাদার টেরেজা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি স্থাপন করেন। তারপর থেকে কলকাতার এই সংস্থাই হয়ে ওঠে নোবেলজয়ী মাদারের ধ্যানজ্ঞান। দেশ-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির শাখা। এমন এক সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সরকারি নির্দেশে ফ্রিজ হয়ে যাওয়ায় স্পষ্টতই বিতর্ক বেড়েছে।
সম্প্রতি গুজরাতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে। জোর করে হাউজের আবাসিক মেয়েদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ-সহ হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের মতো একাধিক ধারায় গুজরাতে এফআইআর দায়ের হয়েছে মাদার টেরেজার সংস্থার বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। তবে এই অভিযোগের ভিত্তিতে চলা তদন্তের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন