scorecardresearch

জোড়া ফাঁপরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী, আঁড়ি পাতার অভিযোগেও তদন্তের নির্দেশ  

লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন।

manish sisodia, ministry of home affairs, Prevention of Corruption Act, snooping case, Feedback Unit, sanction to prosecute, indian express news"

বিরোধী দলের নেতাদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি? বড় ফাঁপরে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আপ সরকারের ‘ফিডব্যাক ইউনিট’-এর মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে আঁড়ি পাতার অভিযোগে ওঠে আপ সরকারের বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মশীশ সিসোদিয়ার। এবার সেই মামলায় ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে’ মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

আবগারি নীতি দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তলবের মুখে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া । আবগারি নীতি দুর্নীতিকাণ্ডেই ফের মণীশ সিসোদিয়াকে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার তাঁকে দিল্লির সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আবগারি দুর্নীতির বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, দিল্লির বাজেটের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কারণ জানিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে সিবিআই। এরপরই আগামী রবিবার তাঁকে তলব করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: [ আধাসামরিক বাহিনীতে ৮৩ হাজারেরও বেশি শূন্যপদ, নিয়োগে তৎপর কেন্দ্র ]

তার মাঝেই সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি মামলার তদন্তের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসার পরে, দিল্লি সরকার একটি ফিডব্যাক ইউনিট (এফবিইউ) গঠন করেছিল যার কাজ ছিল প্রতিটি বিভাগ পর্যবেক্ষণ করা। যদিও পরে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে এর মাধ্যমে দিল্লি সরকার বিরোধী দলগুলির কাজকর্মের উপর নজর রাখছিল।

সিবিআইয়ের মতে, এফবিইউ আট মাসে ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করে। সংস্থার মতে, ফিডব্যাক ইউনিট গঠন ও কাজ করার অবৈধ উপায়ে রাজকোষের প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিবিআই ফিডব্যাক ইউনিট সম্পর্কিত তাদের রিপোর্ট ভিজিল্যান্স বিভাগে জমা দিয়েছে।

এরই সূত্র ধরে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি আঁড়ি পাতার অভিযোগ আনে। এখন এই মামলায় দিল্লির ডেপুটি সিএমের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে মনীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই আপ ও বিজেপিতে শুরু হয়েছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালা। দিল্লি বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বিষয়টিকে ‘খুব গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপ সরকার যেভাবে কাজ করছে, খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়া দুজনেই জেল হেফাজতে থাকবেন”।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Mha sanctions prosecution of delhi deputy cm manish sisodia under corruption act