জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনআরসিবি ) রিপোর্ট ঘিরে বিভ্রন্তি। সোমবার প্রকাশিত এনআরসিবি রিপোর্টে গণপ্রহারে মৃত্যু, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে হত্যা এবং ধর্মীয় কারণে হত্যার ঘটনার মত নতুন উপবিভাগ (সাব হেড) গুলি প্রকাশিত হয়নি। এই ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে, বিতর্ক এড়াতে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআরসিবি রিপোর্ট নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বলা হয়েছে অবিশ্বাসযোগ্য এবং ভুল তথ্য প্রমাণের কারণে সব নতুন উপবিভাগে তথ্যের অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি।
এছাড়াও বলা হয়েছে, এনআরসিবি রিপোর্টের ২৫টি উপবিভাগের তথ্য দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ মৃত্যু, বিদ্বেষ অপরাধ, সাংবাদিকদের ও আরটিআই আন্দোলনকারীদের উপর আঘাতের মত বিষয়গুলো।
আরও পড়ুন: কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় গঠিত সিট সদস্যদের বিরুদ্ধেই এফআইআরের নির্দেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন কতকগুলি মাত্রার ভিত্তিতে এইসব তথ্য রিপোর্টের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অবিশ্বাসযোগ্য় এবং ভুল তথ্য প্রমাণের কারণে সব বিভাগে তথ্যের অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি। জানাগিয়েছে, বহু ক্ষেত্রে অপরাধের তথ্য নিলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গণপ্রহারে মৃত্যু, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে হত্যা।
আরও পড়ুন: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পিএফ অফিসারের ২.৮৯ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
এনসিআরবি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর ইশ কুমারের নেতৃত্বে সংস্থা তথ্য সংগ্রহে ব্যাপক বদল আনছিল বলে সংস্থার আভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে। তাঁর অধীনেই ব্যুরোয় গণপ্রহার ও ধর্মীয় কারণে হত্যার মত বিভাগ যুক্ত করা হয়। তথ্য সংগ্রহে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এসব তথ্য প্রকাশিত না হওয়া বিস্ময়কর। এ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সংগৃহীত ও এবং বিশ্লেষণ করে প্রকাশের জন্য প্রস্তুত রাখা ছিল। শুধু শীর্ষস্থানীয়রাই বলতে পারবেন এ সব তথ্য কেন প্রকাশ করা হয়নি।”
২০১৫-১৬ সালে দেশ জুড়ে গণপ্রহারের ঘটনা বাড়তে থাকায় এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আধিকারিকরা বলছেন, এ ধরনের তথ্য সংগ্রহের ফলে এ ধরনের অপরাধের মোকাবিলায় সরকারের নীতি নির্ধারণ করতে সুবিধে হবে বলেই মনে করা হয়েছিল।
Read the full story in English