দেশ-বিরোধী কার্যকলাপে নজরদারি চালাতে সাইবার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগে উদ্যোগী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের সাইবার অপরাধ দমন শাখা বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের নাগরিক সামাজিক মাধ্যমে নজর রাখতে পারবেন। মৌলবাদ, শিশু পর্ণোগ্রাফি, ধর্ষণ, দেশ-বিরোধী, যেকোনও প্রকার বেআইনি কন্টেন্ট চিহ্নিত করতে পারবেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের কাজ হবে সেই কন্টেন্ট সম্বন্ধে সরকার কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অবগত করা। যদিও সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ আদতে সামাজিক মাধ্যমে বাক স্বাধীনতা খর্ব করতেই নেওয়া।
পাইলট হিসেবে ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীর আর ত্রিপুরাতে এই কর্মসূচি চলছে। সামগ্রিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে গোটা দেশে গ্রহণ করা হবে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সুত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম সমন্বয় কেন্দ্র (১৪সি) নোডাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। দেশের অঙ্গরাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত এলাকাগুলো থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
নাম নথিভুক্তির সময় ব্যক্তিগত বিবরণ, মেইল আইডি, বাবার নাম, মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। তবে পৃথক ভাবে এই বিবরণ পর্যালোচনা করা হবে না। শুধু নাম নথিভুক্তির নথি হিসেবে এগুলো ব্যবহার করা হবে।
যদিও সামাজিক মাধ্যমে কোনগুলো দেশ-বিরোধী কন্টেন্ট বা কার্যকলাপ, সে নিয়ে সরকারি কোনও আইন নেই। কোন কন্টেন্ট ইউএপিএ আইনের আওতাধীন সে বিষয়ে সরকারি কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই।
এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে মেইল করা হলে কোনও জবাব মেলেনি। ঠিক কোন কন্টেন্ট দেশ-বিরোধী বা দেশ-বিরোধী কার্যকলাপ, তা নিয়েও কোনও স্পষ্ট জবাব মেলেনি। তবে মন্ত্রক সুত্রে খবর, যারা সাইবার স্বেছাসেবক হিসেবে কাজ করবে তারা কোনওভাবেই এই পদের বানিজ্যিক ব্যবহার করতে পারবে না। কিংবা জনমানসে নিজেদের অবদান সম্পর্কে প্রচার করতে পারবে না। তাঁরা সরকারি কোনও মাধ্যম বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত, সে বিষয়ে কোনও প্রচার প্রকাশ্যে করা যাবে না। এমনটাই মন্ত্রক সুত্রে খবর। কিন্তু সাইবার অপরাধ একটা বড় ক্ষেত্র। সেখান থেকে দেশ-বিরোধী কন্টেন্ট খুঁজে বের করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।