গত বৃহস্পতিবার প্রয়াগরাজে পৌঁছে একটি লজে ওঠে তিন আততায়ী। ছক কষতে থাকে আতিককে হত্যার। ইতিমধ্যেই তিন জনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে লজের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশের জানিয়েছে তিন জন আততায়ী লাভলেশ তিওয়ারি, সানি এবং অরুণ মৌর্য জেরায় স্বীকার করেছেন যে তারা আতিক আহমেদকে ‘খতম’ করে আন্ডারওয়ার্ল্ডে ‘বিখ্যাত’ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন।
আতিক আহমেদকে গুলি করার আগে তাদের সারাদিন অনুসরণ করেছিল তিন আততায়ী। পাশাপাশি জোগাড়ও করে ফেলেছিল জাল আইডেন্টিফিকেশন কার্ড এবং একটি ক্যামেরা। উদ্দেশ্য একটাই আতিক আহমেদকে হত্যা করা। এরজন্য মিথ্যা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা আতিকের খুব কাছে পৌঁছে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের কাছ থেকে তিনটি জাল মিডিয়া আইডি কার্ড, একটি মাইক্রোফোন এবং একটি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে। আতিক আহমেদ উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর আসনের প্রাক্তন সংসদ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি সহ ৯০টির বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
২০১৮ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও আনা হয় আতিকের বিরুদ্ধে। তার ভাই আশরাফের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ছিল। শুক্রবার তাকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
জানা গিয়েছে আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে হত্যাকারী তিন আসামিই একটি মোটরসাইকে্ল করে ঘটনাস্থলে আসেন। যে মোটর বাইক করে তিন আততায়ী সাংবাদিক পরিচয়ে আসেন তার নম্বর Up70-M7337। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর নম্বরটি ভুয়ো। বাইকটি কোথা থেকে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে তিন অভিযুক্তই পুলিশকে জানিয়েছেন, আতিক ও আশরাফকে খুন করার লক্ষ্যে তাঁরা সকলেই প্রয়াগরাজে এসেছিলেন।