/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Untitled-design-78.jpg)
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযানে যৌথ বাহিনী। ফাইল ফটো
Kashmir Encounter: রবিবার রাতভর এনকাউন্টারে উত্তর কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। মুদাসির পণ্ডিত নামে এক ওয়ান্টেড–সহ এই গুলির লড়াইয়ে মৃত তিন সন্ত্রাসবাদী। কাশ্মীর পুলিশের আইজি অফিস সূত্রে এই দাবি করা হয়েছে। রবিবারের রাতের এনকাউন্টারের সাফল্য প্রসঙ্গে সোমবার একটি ট্যুইট করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি অফিস। সেই ট্যুইটে উল্লেখ, ‘লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার ওয়ান্টেড মুদাসির পণ্ডিত সোপর এনকাউন্টারে নিহত। তাঁর বিরুদ্ধে তিন জন পুলিশকর্মী, দুই জন স্থানীয় কাউন্সিলর ও দুই জন নাগরিকের খুনের অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি উপত্যকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরিতে বড় ভূমিকা ছিল তার।‘
পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছর কাশ্মীরে সংঘটিত একাধিক খুন, সন্ত্রাস ছড়ানো-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল মুদাসির। রবিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সোপরের গুন্ড ব্রাথ এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে পণ্ডিত-সহ তিন জঙ্গি। এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ বাহিনী। সেই পথেই আসে সাফল্য।
এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে উদ্যোগী কেন্দ্র। চলতি বছরের শেষে বা ২০২২-র শুরুতে এই নির্বাচন হতে পারে। ২৪ জুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলো। এই গণতান্ত্রিক আবহকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না ইসলামাবাদ। কাশ্মীরে এমন কিছু যাতে না করা হয়, যা উত্তেজনা তৈরি করে। এই মর্মে বার্তা পাঠিয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তাই সর্বদলীয় বৈঠকের নির্ঘণ্ট যত এগোবে, তত পড়শি দেশ থেকে ইন্ধন আসবে, সীমান্তে বাড়বে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। মুদাসির-সহ অন্য ওয়ান্টেড জঙ্গিদের সাম্প্রতিক সক্রিয়তা সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। এমনটাই মত প্রাক্তন সেনাকর্তাদের।অপরদিকে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল উপত্যকা। ১২ জুন সকালে কাশ্মীরের সোপরেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় শহিদ হয়েছিলেন দুই পুলিশকর্মী। এই হামলায় মোট ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যাঁদের মধ্যে দুই জন স্থানীয় নাগরিক। পাশাপাশি দুই পুলিশকর্মী-সহ ৩ জন এই হামলায় জখম হয়ে চিকিৎসাধীন।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, এই হামলার লক্ষ্য ছিলেন সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী। সেদিন সকালে আরামপোরা এলাকায় টহলদারি সময় তাঁদের ওপর হামলা হয়। আচমকা এই হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে পাল্টা জবাব দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন