/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/Migrant-Labours.jpg)
বুধবার ন'শোর বেশি মানুষ দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশের অন্য একাধিক রাজ্যের পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। গতকালও ন'শোর বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে দিল্লির সরকার। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন দিল্লি সরকারের এক কর্তা। তিনি জানিয়েছেন, সরকার এমন কোনও বিধি-নিষেধ চাপাবে না যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের মনে কোনও আতঙ্ক তৈরি হয়।
বুধবারও দিল্লিতে ৯২৩ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরের ৩০ মে-র পর থেকে সংক্রমিতের এই সংখ্যা সর্বাধিক। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। দিল্লি সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ''পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে না, যাতে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। দিল্লির হাসপাতালগুলিতে বেড অকুপেন্সি এখনও খুবই কম। ওমিক্রন নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে রাজ্যগুলি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে তার মধ্যে দিল্লিও আছে। তবে এখনই কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।''
রাজধানীর বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবারই পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিল দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। সেখানেই বিধি-নিষেধ আরোপ নিয়ে আলোচনা হয়। দিল্লিতে মঙ্গলবারের দ্বিগুণ সংক্রমণ ছড়িয়েছে বুধবার। মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৪৯৬।
বুধবার সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ন'শোর কাছে পৌঁছেছে। বুধবার দিল্লিতে নতুন করে ৭৩ জন ওমিক্রন আক্রান্তেরও হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৩৮। মঙ্গলবার দিল্লিতে ৭১ হাজার ৬৯৬টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘মুম্বইয়ের দৈনিক আক্রান্ত দুই হাজার ছাড়াবে’, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যের মন্ত্রীর
পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ঘটনা কার্যত স্রোতের আকার নিয়েছিল দিল্লিতে। এখনও পর্যন্ত দু'বার দিল্লিতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। দেশে লকডাউন ঘোষণার পর প্রথমে ২০২০-এর মার্চ-এপ্রিলে ট্রেনে-বাসে, হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছিল লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে। একই ছবির পুনরাবৃত্তি হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে। দেশে তখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সেবারও রাজধানীতে ছেড়ে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফের একবার তাঁদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন।
Read full story in English