সংক্রমণের সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে রোগী বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারবেন। নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে জানাল সাস্থ্যমন্ত্রক। তবে হোম আইসোলেশনে থাকলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সংস্পর্শে আসা যাবে না। সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় গাইডলাইনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।
Advertisment
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন গাইডলাইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তির শরীরে সংক্রমণের মৃদু উপসর্গ থাকলে বা করোনা পজিটিভ হলেও উপসর্গের সম্পূর্ণ প্রকাশ না ঘটলে সে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে পারেন। পুরো প্রক্রিয়াটাই হতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। এক্ষেত্রে রোগীকে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নজরেই রাখা হবে। জ্বর এলে বা শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের খোঁজ-খবর নেবেন জেলা বা সংস্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিক। সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে তা সব সময় অ্যাকটিভ রাখতে হবে।
এছাড়াও গাইডলাইনে বলা হয়েছে যে, হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তির নজদারিতে থাকা ব্যক্তি ও বাড়ির লোকেরা প্রতিরোধমূল ওষুধ হিসাবে হাইড্রক্সিক্লোরকুইন খেতে পারেন। তবে, এক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মোতাবেক, নির্দিষ্ট সময় পর রোগীর করোনা পরীক্ষা হবে। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে হোম আইসোলেশন থেকে মুক্ত করা যেতে পারে।
Advertisment
কারও শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেলে এতদিনের গাইডলাইন মেনে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠান হয়ে থাকে। এতেই করোনা চেন রোধ সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছিল। কিুন্তু, নতুন নির্দেশ রোগী বাড়িতে চেনা পরিবেশে থাকতে পারবেন ও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও চাপ কম পড়বে।
বিশ্বজুড়ে দেখা গিয়েছে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা দেয়। ২০ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে থাকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আইসিইউ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮০ শতাংশ রোগীরই করোনার প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, ১৫ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন, ওষুধ দেওয়া দরকার হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার সকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে, দেশে মোট কোভিড-১৯ পজেটিভের সংখ্যা ২৯,৪৩৫। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৬,৮৬৮ জন। এই সংখ্যাই আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। দেশে করোনার বলি ৯৩৪ জন।