আগের সপ্তাহেই ইউএপিএ-তে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলেকেও জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল দিল্লি। এবার সেই তালিকায় যোগ করা হল কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মুক্তপণ মুস্তাক আহমেদ জারগারকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, 'মুস্তাক আহমেদ জারগারের সঙ্গে আল-কায়েদা এবং জইশ-ই-মহম্মদের মতো মৌলবাদী সন্ত্রাবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগাযোগ এবং নৈকট্যের কারণে শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে শান্তির জন্য সে বিপদজনক। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে মুস্তাক আহমেদ জারগার ওরফে ল্যাট্রাম সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত। ফলে তাকে ইউএপিএ-র অধীনে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হল।'
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, জারগার ইউএপিএ-এর অধীনে নিষিদ্ধ সংগঠন আল-উমর-মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান কমান্ডার। এর আগে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। জারগার অবৈধ অস্ত্র চালান ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, 'জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন দেওয়ার জন্য জারগার পাকিস্তান থেকে অবিরাম প্রচার চালাচ্ছে।' এচাড়াও বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জঙ্গি জারগার হত্যা, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ণ এবং জহ্গিদের অর্থ সরবরাহ সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
আপাতত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরবাদে নিজের সংগঠনের সদর দফতর খুলেথে জারগার। সেখান থেকেই সে বহাল তবিয়তে এপারের শ্রীনগর, কুপওয়ারা, কুলগাম, বুদগামের মতো এলাকায় সন্ত্রাবাদী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে।
১৯৯৯ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অপহরণ করে পাক জঙ্গিরা। কান্দাহার অপহরণ কাণ্ডে বিমানযাত্রীদের মুক্তির বদলে তিন জঙ্গিরে রেহাইয়ের শর্ত দিয়েছিল জেহাদিরা। সেই সময় আইএসআইয়ের মানসপুত্র মাসুদ আজহার, আহমেদ ওমর সৈয়দ শেখ এবং মুস্তাক আহমেদ জারগারকে রেহাই দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত সরকার।
Read in English