ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। জঙ্গিদের গুলিতে খুন নিরীহ নাগরিক। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে সরকারি স্কুলের মধ্যে ঢুকে এক শিক্ষিকাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। দুসপ্তাহ আগেই অফিসে ঢুকে এক সরকারি অফিসার কাশ্মীরি পণ্ডিতকে নৃশংসভাবে খুন করে জঙ্গিরা। তার পর আবার এক সরকারি কর্মী জঙ্গিদের হামলার বলি হলেন। এই মহিলা জম্মুর বাসিন্দা ছিলেন জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গিরা গোপালপোরা গ্রামে ওই সরকারি স্কুলে ঢুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় শিক্ষিকাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে, জম্মুর সাম্বা সেক্টরে থাকতেন ওই শিক্ষিকা।
জম্ম-কাশ্মীর পুলিশ একটি টুইটে জানিয়েছে, জঙ্গিরা গোপালপোরায় একটি হাইস্কুলে ঢুকে শিক্ষিকার উপর হামলা করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এলাকা নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে রেখেছে। বিস্তারিত তথ্য পেলে জানানো হবে।
সপ্তাহ দুই আগে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং সরকারি কর্মী রাহুল ভাটের খুনের ঘটনায় উপত্যকায় বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল। মধ্য কাশ্মীরে চাদুরা এলাকায় গত ১২ মে অফিসে ঢুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় জঙ্গিরা। তার পর উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তা এবং বিচারের দাবিতে পথে নামেন হিন্দু পণ্ডিতরা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের উপর।
আরও পড়ুন কাশ্মীরে এনকাউন্টারে খতম ২ জঙ্গি, একজন সরকারি কর্মী খুনে অভিযুক্ত
এদিকে, আজই সকালে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ দুই কুখ্যাত জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন কয়েকদিন আগে কাশ্মীরে দুই নিরীহ নাগরিককে খুন করেছিল। মঙ্গলবার ভোরের দিকে অবন্তীপোরায় কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনার যৌথ অপারেশন খতম হয় দুই জঙ্গি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম শাহিদ রাঠের (ত্রালের বাসিন্দা) এভং উমর ইউসুফ (সোপিয়ানের বাসিন্দা)। পুলিশ জানিয়েছে, শাহিদ শাকিলা নামে এক সাধারণ নাগরিক এবং জাভেদ আহমেদ নামে এক সরকারি কর্মীকে খুন করেছিল লুরগাম এলাকায়।