Advertisment

‘‘রাজনৈতিক ভাবেই কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে হবে’’

লেফট্যানেন্ট জেনারেল বলেছেন যে, সেনা শুধুমাত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। সেক্ষেত্রে সুশাসনে আরও জোর দেওয়া দরকার। রাজনৈতিক ভাবেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lt Gen A K Bhatt, লেফট্যানেন্ট জেনারেল এ কে ভাট

লেফট্যানেন্ট জেনারেল এ কে ভাট। ছবি: শোয়েব মাসুদি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কাশ্মীর সমস্যা কিছুতেই মিটছে না। অশান্তির আগুনে মাঝে মধ্যেই জ্বলে উঠছে উপত্যকা। সীমান্তে গোলাগুলিও থামছে না। এহেন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে রাজনৈতিক ভাবেই, এমন পরামর্শই দিয়েছেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল এ কে ভাট। তিনি বলেছেন যে, সেনার সীমিত ভূমিকা রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক ভাবেই কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে হবে। এ প্রসঙ্গে বাজপেয়ী যুগেরও প্রসঙ্গ টেনেছেন ভাট।

Advertisment

দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে লেফট্যানেন্ট জেনারেল বলেছেন, সেনা শুধুমাত্র পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পারে। সেক্ষেত্রে  সুশাসনে আরও জোর দেওয়া দরকার। রাজনৈতিক ভাবেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাজপেয়ী জমানায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান সরকারও সঠিক সময়ে একইরকম পদক্ষেপ করবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, কাশ্মীরে অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে লেফট্যানেন্ট জেনারেল বলেছেন, উপত্যকার যুবকদের বোঝাতে হবে যে হিংসার পথে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। কীভাবে যুবকদের সন্তুষ্ট করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। তাঁদের বোঝাতে হবে, তাঁদের ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের তুলনায় এ দেশে অনেক ভাল।  জামাতের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ও পাকিস্তানিরা যে তাঁদের ব্যবহার করছে, সেকথা বোঝানোও দরকার।

আরও পড়ুন, ‘‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রচার বাড়াবাড়ি’’, বিস্ফোরক প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট জেনারেল

সোশাল মিডিয়া নিয়ে এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভাট। তাঁর মতে, সোশাল মিডিয়া সবথেকে চিন্তার বিষয় এখন। গণতান্ত্রিক দেশে সোশাল মিডিয়া একটা বিশেষ অধিকারের মতো। কেন তিনি এটাকে বিশেষ অধিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, সে ব্যাপারে তিনি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘চিন কীভাবে সোশাল মিডিয়া পরিচালনা করে দেখুন, অন্যান্য দেশ কীভাবে পরিচালনা করছে দেখুন, সোশাল মিডিয়ার উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেখানে। এখানে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা একদম স্বাধীন। সেই স্বাধীনতার সুযোগ নিচ্ছে শত্রুপক্ষ।’’ পাকিস্তান প্ররোচনাকারী বলেও উল্লেখ করেছেন ভাট। তিনি বলেছেন যে, কাশ্মীরে যারা পাথর ছোড়ে, তারা সকলেই পাকিস্তানপন্থী।

সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভাট বলেছেন যে, ৫০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, যারা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরোনোর চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ১০০ জন অনুপ্রবেশ করেছে। সারাক্ষণ কোথাও কোথাও অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। নতুন নতুন কৌশলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ জঙ্গিদলগুলির মধ্যে জইশ-এ-মহম্মদই প্রধান মাথাব্যথা বলে মন্তব্য করেছেন ভাট। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে, স্থানীয়দের দলে টানছে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী।

Read the full story in English

national news jammu and kashmir
Advertisment