একুশের ভোটে গোটা রাজ্যের নজর নন্দীগ্রামে। এবার জমি আন্দোলনের ভূমি থেকেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। খোদ বামফ্রন্ট চেযারম্যান বিমান বসু নন্দীগ্রাম কেন্দ্রকে 'হাইভোল্টেজ কেন্দ্র' বলে জানিয়েছিলেন। এবার সেই নন্দীগ্রামেই প্রার্থী ঘোষণা করল বামেরা। এই আসনে তারুণ্যেই আস্থা রাখল সিপিএম। কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নে এবার নন্দীগ্রাম থেকে প্রাথী করা হয়েছে ডিওয়াইএইআই-য়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়কে।
Advertisment
সংগঠনের নানা কর্মসূচিতে সম্প্রতি সামনের সারিতে নজরে পড়েন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়। নবান্ন অভিযানের দিনও পুলিশের লাঠির সামনে সংগঠনের এই সভানেত্রীকে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। বাংলা তো বটেই, হিন্দি ও ইংরেজীতেও সাবলীল মীনাক্ষি। পশ্চিম বর্ধমানের মেয়ে মীনাক্ষিকেই তাই হেভিওয়েট কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে আলিমুদ্দিন।
রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন সিঙ্গুর। অন্যদিকে সিঙ্গুর মানেই বামেদের কাছে শিল্পায়নের প্রতীক। জমি আন্দোলনের ১৫ বছর পর ভোট শিল্পায়ণ সিঙ্গুরের অন্যতম ইস্যু। তাই এই কেন্দ্রে বামেদের কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল। তরুণ মুখকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চেয়েছিল সিপিএম। সবদিক বিবেচনা করে তাই আলিমুদ্দীন এবার সিঙ্গুরের প্রার্থী করল দলের ছাত্র সংগঠনের অন্যতম মুখ ও এসএইআই-য়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যকে। উল্লেখ্য, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম সিঙ্গুরে প্রার্থী করেছিল রবীন দেবকে।
কসবা থেকে সিপিএম প্রার্থী করেছে দলের আরেক জনপ্রিয় মুখ শতরূপ ঘোষকে। এছাড়াও প্রার্থী করা হয়েছে এসএইআই-য়ের রাজ্য সভাপতি প্রতিকুর রহমানকে। ডায়মন্ড হারবার থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী পৃথা তা।
নির্বাচনী লড়াইয়ে এবার সিপিএমের অন্যতম বাজি জেএনইউ-য়ের এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ। জামুড়িয়া তাঁকে সিপিএম প্রার্থী করেছে। রাজারহাট নিউটাউন কেন্দ্র থেকে এবার সিপিএমের হয়ে ভোট ময়দানে প্রাক্তনমন্ত্রী গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষী দেব।
বালি থেকে বামফ্রন্টের হয়ে সিপিএম প্রার্থী দীস্পিতা ধর ও খড়দহে দেবজ্যোতি দাস।
এছাড়াও টালিগঞ্জে প্রার্থী করা হয়েছে রূপোলি পর্দার মুখ দেবদূত ঘোষকে।