মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এবার মুম্বইয়ের সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে লেখা বিস্ফোরক চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, বড়সড় দুর্নীতিতে যুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্ক কাণ্ডে ধৃত পুলিশ অফিসার শচীন ভাজের সঙ্গে দেশমুখের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। এমনকী শচীনকে মাসে ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজির টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন দেশমুখ। পরমবীরের চিঠির জেরে উত্তাল মহারাষ্ট্র।
চিঠিতে প্রাক্তন কমিশনার লিখেছেন, "মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাজেকে দিয়ে মাসে ১০০ কোটি টাকা তুলতেন। এই টার্গেট পূরণ করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাজেকে শহরের ১৭৫০টি বার, রেস্তরাঁ এবং অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করতে বলেছিলেন। প্রত্যেকটির কাছ থেকে ২-৩ লক্ষ টাকা করে তুললেও মাসে ৪০-৫০ কোটি টাকা উঠত। বাকি টাকা অন্য ভাবে আদায় করতেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।" চিঠিতে পরমবীর এটাও উল্লেখ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে উদ্ধব ঠাকরেকে এই বিষয়ে আগেও অবগত করেছিলেন তিনি।
সে প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, "অ্যান্টিলায় বোমাতঙ্ক কাণ্ডে মধ্য মার্চে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ষায় এসে আপনাকে তদন্তে বেশ কিছু অসঙ্গতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুর্নীতি নিয়ে অবগত করেছিলাম। একইসঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার এবং এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারকে অনিল দেশমুখের সম্পর্কে জানিয়েছিলাম।" শচীন ভাজেকে নিয়ে পরমবীর লিখেছেন, "শচীনকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রধান করা এবং নিজের বাসভবন ধ্যানেশ্বরে একাধিক বার ডেকে গত কয়েক মাসে তোলাবাজির টাকা নিয়ে আলোচনা করতেন অনিল দেশমুখ।"
এই বিস্ফোরক চিঠি সংবাদমাধ্যমে হইচই ফেলে দিতেই পাল্টা টুইট করে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অনিল দেশমুখ স্বয়ং। লিখেছেন, "শচীন ভাজের মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্ক এবং মনসুখ হিরেনের মৃত্যুরহস্যে যোগসাজশ থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছেন পরমবীর সিং।" এদিকে, এই চিঠিকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। যদি দেশমুখ পদত্যাগ না করেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করে দেশমুখকে অপসারণের দাবি তুলেছেন ফড়ণবিশ।