ভারতের সঙ্গে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ব্রিটেন। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তবে, এই চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি ব্রিটিশ বিদেশসচিব। নয়াদিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার ক্লেভারলি জানান, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের অধীনস্ত ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। কারণ, সুনাক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রথম এশীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
জয়শংকরের সঙ্গে তাঁর বৈঠক প্রসঙ্গে ক্লেভারলি বলেন, 'আমরা আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব এবং ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। তবে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি কী, সেই ব্যাপারে ক্লেভারলি বিস্তারিত না-জানালেও বলেছেন, আশা ছিল চুক্তিটি দীপাবলির সময়েই স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু, সেটা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কবে চুক্তি হবে, তা পরে জানানো হবে। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, অন্তত এবছরে হবে কি? সেটাও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী।
শুধু বলেছেন, 'এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি। তাই আমরা এই চুক্তিতে সত্যিই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা তাই নিশ্চিত করব যাতে আমাদের আধিকারিকরা এবং মন্ত্রীরা এই ব্যাপারে নিয়মিত কথা বলেন। আর, কঠোর পরিশ্রম করেন।' ক্লেভারলি আরও বলেন, 'আমরা অনেক কাজ করেছি। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের মনে রাখতে হবে, এই চুক্তি করা কখনও সহজ হবে না। তবে, এটি আমাদের ভবিষ্যতের সম্পর্ককে গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে।'
আরও পড়ুন- সামনেই বিশ্বকাপ ফুটবল, বিদেশি কর্মীদের কয়েক ঘণ্টার নোটিসে ঘরছাড়া করছে কাতার
ক্লেভারলি জানান, এর আগে ভারতে ব্রিটিশ হুইস্কির ওপর আমদানি শুল্ক বেশি ছিল। নয়াদিল্লিও চায় ভারতীয়দের ব্রিটিশ ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যাতে আমাদের ভিসার ব্যবস্থা যাতে দ্রুত, সহজ এবং সুবিধাজনক করা যায়। ভারত এবং ব্রিটেন
২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়। বর্তমানে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩,১০০ কোটি ডলারের বেশি। রাশিয়ার তেলের দাম কম। কিন্তু, তা ব্যবহার না-করার জন্য ভারতকে চাপ দিতে পারে জি-৭ গোষ্ঠী?
এই ব্যাপারে ক্লেভারলি জানান, ব্রিটেন কখনও নয়াদিল্লির বিদেশনীতি নির্ধারণ করবে না। তিনি বলেন, 'ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত ইতিমধ্যেই রাশিয়ার তেলের বড় ক্রেতা হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি না যে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার পক্ষে অন্য দেশের নীতি নির্ধারণ করা ঠিক হবে।'
Read full story in English