হাথরাসের ঘটনা ঘিরে দেশব্য়াপী তোলপাড়় চলছে। এর মধ্য়েই আরও এক গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। মধ্য়প্রদেশের খারগোন জেলায় ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৩ অজ্ঞাতপরিচয় ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। ঘর থেকে নাবালিকাকে টেনে বের করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃষিখেত সংলগ্ন একটি কুঁড়েঘরে ভাইয়ের সঙ্গে থাকত ওই নাবালিকা। তারা শ্রমিকের কাজ করত। তাদের বাবা-মা অন্য় একটি গ্রামে থাকেন। মঙ্গল ও বুধবারের মধ্য়বর্তী রাতে বাইকে করে এসে ঘর থেকে বের করে নাবালিকাকে তারা ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন: হাথরাসে তরুণীর ধর্ষণই হয়নি, চাঞ্চল্য়কর দাবি শীর্ষ পুলিশকর্তার
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, বাধা দিলে নাবালিকার ভাইকে লাঠি দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা। ধর্ষণের পর রাস্তার উপর নাবালিকাকে ফেলে চম্পট দেয় তারা। নাবালিকার ভাই পড়শিদের ডাকাডাকি করে এ ঘটনা জানায়। কিন্তু ধাওয়া করেও অভিযুক্তদের ধরতে পারেননি গ্রামবাসীরা। বাইকটি ফেলে রেখেই চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
নাবালিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তার মেডিক্য়াল পরীক্ষা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তদের ব্য়বহৃত বাইকটি চুরি চাওয়া সামগ্রী বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। এ ঘটনায় তদন্ত চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাথরসে গণধর্ষণ ও নির্মম অত্য়াচারে দলিত তরুণীর মৃত্য়ুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। এই আবহে যোগীরাজ্য়েই আরেকটি গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে ধর্ষণ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হল ২২ বছরের এক দলিত মহিলাকে। এরপর মধ্য়প্রদেশে ফের ধর্ষণের ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন