১৪টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রদান নিয়ে চতুর্থবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করল কেন্দ্র। সরকারের তরফে এদিনের শুনানিতে আদালতে জানানো হয়েছে বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং সমাজে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্র ধীরে চলো নীতিকে সামনে রেখেই এগোতে চায়।
সোমবার আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এবং অন্যদের আবেদনের জবাবে দায়ের করা চতুর্থ হলফনামায় কেন্দ্র বলেছে এই নিয়ে ১৪ টি রাজ্য এবং তিনটি কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের কথা হয়েছে। বাকী ১৯ টি রাজ্য এই বিষয়ে মতামত জানানোর জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছে।
দেশে এখন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু রয়েছে। মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ ও জৈনরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসাবে স্বীকৃত। রাজ্য ও জেলা বিশেষে হিন্দুদেরও সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিতে আর্জি জানানো হয় শীর্ষ আদালতে।
কেন্দ্র বলেছে, ১৪টি রাজ্য সরকার যথাক্রমে পাঞ্জাব, মিজোরাম, মেঘালয়, মণিপুর, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, নাগাল্যান্ড, হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন এবং দিউ এবং চণ্ডীগড় তাদের মন্তব্য পেশ করেছে”।
আরও পড়ুন: < জং পড়া কেবল, সারানোই হয়নি সেতু, মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ে ভয়ঙ্কর দাবি পুলিশের >
অন্য ১৯ টি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে তাদের মতামত দ্রুত পাঠানোর ব্যাপারে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে। যে ১৯ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাদের মতামত প্রকাশ করেনি তাদের মতামত প্রকাশের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন।
কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে ১৪ রাজ্য ও তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে বেশ কিছু রাজ্য আছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। আবার অনেক রাজ্যেই আছে যেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হল হিন্দুরা।
কেন্দ্র, আগস্ট মাসেও, এই বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে অতিরিক্ত সময়ের আবেদন করেছিল। গত মে মাসে, শীর্ষ আদালত এই ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ার জন্য সরকারকে ভৎসর্না করে জানায়, সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের ইস্যুটির একটি দ্রুত সমাধান দরকার।
সে সময় কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানায়, সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলবে, আলোচনার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগের একটি হলফনামায়, সরকার বলেছিল যে রাজ্য সরকারগুলিও সেই রাজ্যের মধ্যে একটি ধর্মীয় বা ভাষাগত সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসাবে ঘোষণা করতে পারে।