২৮হাজার মৃত্যু, তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে ৬হাজারের বেশি বহুতল। শ’য়ে শ’য়ে আফটারশক ! সোমবারের ভুমিকম্পে তছনছ হয়ে যায় সাজানো গোছানো একটা দেশ। ধ্বংস ও হতাশার মাঝেও বেঁচে থাকার ‘অলৌকিক কাহিনী’ অন্ধাকারের মাঝেও কিছুটা আশার আলো দেখায়। তুরস্কের হাতায়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই মাসের এক শিশুকে। ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকার পরও শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
হিমশীতল আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী জীবন বাজি রেখে প্রাণ বাঁচাতে তাদের লড়াই জারি রেখেছেন। এখনও সাহায্যের প্রয়োজনে মরিয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ। তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী এক বালিকা, ছয় মাসের এক গর্ভবতী মহিলা এবং ৭০ বছর বয়সী এক মহিলাও রয়েছেন।
সোমবারের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে, তুরস্ক এবং সিরিয়া! সঙ্গে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আফটারশক। যা এই শতাব্দীর বিশ্বের সপ্তম মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ২০০৩ সালে প্রতিবেশী ইরানে ভূমিকম্পে মারা যান ৩১ হাজারের বেশি। তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরেই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল ভারত। সেই মতো এর আগেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাঠিয়েছে ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে সেদেশে ছুটে গিয়েছেন। ভারত থেকে আট ঘন্টার বিমান যাত্রার পর সেনাবাহিনীর ৬০ প্যারা ফিল্ড হাসপাতালের ইউনিট দুটি পৃথক ব্যাচে গত মঙ্গলবার তুরস্কে নেমেছিল। তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশাল ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই দলটি তুরস্কের ইস্কেন্দারুনের উদ্দেশ্যে যায়।
সেনাবাহিনীর ওই দলের একজন অফিসার বলেন, “তিন দিন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা পাঁচ বছরের একটি মেয়েকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তারপরে ৪৮ বছর বয়সী একজন লোক ছিল যার পা ধ্বংসাবশেষের নীচে পিষ্ট হয়েছিল। আমাদের তার পা কেটে ফেলতে হয়েছিল।”