ভুল তথ্য, মাদকের অপব্যবহার এবং বাস্তব এবং ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা- দেশের যুবশক্তির সামনে এই তিন চ্যালেঞ্জ হিমালয়ের মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। এমনটাই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার এনসিসি এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশের সময় যুবশক্তির সামনে এই তিন চ্যালেঞ্জ জয়ে বিশেষ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। 'মেক ইন ইন্ডিয়া'য় জোর দিচ্ছে সরকার। সেই রেশ ধরেই এ দিনও এনসিসি ক্যাডেটদের স্থানীয়ভাবে তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং তথ্য দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে। তবে 'এতে ভুল তথ্যের বিপদও রয়েছে'। তিনি বলেন, 'দেখতে হবে যে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ যেন কোনও গুজবের কবলে না পড়ে।' এক্ষেত্রে এনসিসি ক্যাডেটরা সচেতনতার প্রচার চালাতে পারেন বলে আর্জি মোদীর।
নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'যুবশক্তির সামনে আরও একটি চ্যালেঞ্জ হল ভার্চুয়াল এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। এর সমাধানে এনসিসি ক্যাডেটরা ভারসাম্যের একটি নীতি প্রণয়ন করতে পারেন যা অন্যদেরও সাহায্যে লাগবে।'
আসক্তি ও মাদক সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আসক্তি কীভাবে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে পারে তা আপনারা সবাই জানেন। তাহলে, যেসব স্কুল-কলেজে এনসিসি বা এনএসএস আছে, সেখানে কীভাবে মাদক পৌঁছায়? একজন ক্যাডেট হিসেবে আপনাকে মাদক মুক্ত থাকতে হবে এবং আপনার ক্যাম্পাসকেও মাদকমুক্ত রাখতে হবে।' এনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে মোদীর পরামর্শ, যারা এনসিসি-এনএসএস-এ নেই তাদের মাদক সেবন বা আসক্তি কাটাতে ক্যাডেটরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেন।
নমো বলেন, ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর বিস্তারে দেশের তরুণ ও যবরাই মুখ্য ভূমিকায় থাকতে পারে। তাঁর কথায়, 'যদি ভারতের যুবকরা সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা শুধুমাত্র একজন ভারতীয়র ঘাম এবং পরিশ্রমে তৈরি জিনিস ব্যবহার করবেন, তাহলে গোটা দেশের ভাগ্য বদলে যেতে পারে'। প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, 'দেশের কথা ভেবে যদি দেশের তরুণরা পকক্ষেপ করতে শুরু করেন তবে সেই জাতিকে বিশ্বের কোনও শক্তি আাগামী ২৫ বছর আটকাতে পারবে না'।
এনসিসি এবং এনএসএস-তে মেয়েদের অধিক অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করে মোদী। বলেন, 'এখন দেশের মেয়েরা সৈনিক স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, মহিলারা সেনাবাহিনীতে বিশাল দায়িত্ব পাচ্ছেন, দেশের মেয়েরা বিমান বাহিনীতে ফাইটার প্লেন চালাচ্ছেন। এই অবস্থায় আমাদের চেষ্টা হওয়া উচিত আরও বেশি মেয়েকে এনসিসিতে অন্তর্ভুক্ত করা।'তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে সরকারের নতুন শিক্ষানীতির অধীনে, এনসিসিকেও শিক্ষার সঙ্গে একীভূত করা হচ্ছে এবং দেশের ৯০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে।
সবশেষ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'বিশ্ব ভারতের উত্থানকে মেনে নেবে না- দেশের সামনে এখন এটা চ্যালেঞ্জ নয়। চ্যালেঞ্জ হল আজ গোটা বিশ্ব আজ বহু প্রত্যাশা এবং বিশ্বাস নিয়ে ভারতের দিতে তাকিয়ে আছে, থাই আমাদের প্রচেষ্টা যেন দুর্বল না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে।'
Read in English