সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভিডিও ফুটেজের জেরে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বসুন্দরী হারাতে চলেছেন তাঁর মুকুট।
'মিস পেরু ২০১৯' অ্যানিলা গ্রাদোসের কাছ থেকে শুধু যে তাঁর বর্তমান খেতাব কেড়ে নেওয়া হল তাই নয়, নিষিদ্ধ হলো 'মিস ইউনিভার্স' প্রতিযোগিতায় তাঁর অংশগ্রহণও। কেন হলো এমন? খবরে প্রকাশ, ইন্টারনেটে মদ্যপ অবস্থায় তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ফলেই রানী হারালেন তাঁর মুকুট।
'ডেইলি মেইল' পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, তাতে অ্যানিলাকে মদ্যপ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। খবরটি ভাইরাল হওয়ার পরেই শালীনতার সীমা লঙ্ঘনের জন্য কেড়ে নেওয়া হয় 'মিস পেরু' খেতাবটি। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, মিস পেরু ২০১৮ (টিনএজ) এর তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্যামিলা কানিকোবা এই ভিডিওটি রেকর্ড করেন।
আরও পড়ুন: কিয়া এন্ড কসমস-এর পাশে কতটা দাঁড়িয়েছে টলিউড? কী বললেন স্বস্তিকা?
মিস পেরু প্রতিযোগিতার ডিরেক্টর জেসিকা নিউটন বলেন "আমি মনে করি, একজন সম্ভাব্য বিশ্বসুন্দরীকে সর্বদাই নম্র ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। গ্রাদোস সেরকমই একজন বিখ্যাত ব্যক্তি, তাই নিজেকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা উচিত ছিল।"
অন্যদিকে, ভিডিওটি যিনি রেকর্ড করেন, সেই ক্যানিকোবা জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত কিছু মানুষের সাথে দৃশ্যটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য রেকর্ড করেছিলেন ভিডিওটি, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ফুটেজ শেয়ার করে "ভুল" করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মোদীর কবিতায় অনুপ্রাণিত, গানে গানে দেশের সেনাদের শ্রদ্ধা নিবেদন সুর সম্রাজ্ঞীর
২০১৮ সালের অক্টোবরে মিস পেরুর মুকুট মাথায় পরেন গ্র্যাডোস, যাঁর এই বছরের শেষের দিকে ফিলিপিনসে অনুষ্ঠেয় বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেশের প্রতিনিধিত্ব করার কথা ছিল। বর্তমানে অ্যানিলা তাঁর অর্জিত খেতাব পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করেছেন এবং যিনি তাঁর "গোপনীয়তা লঙ্ঘন" করে এই ভিডিওটি তুলেছেন, সেই ক্যানিকোবার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Read the full story in English