বুধবার ভোরে ইরাকে দু'টি মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলায় ৮০ জন 'মার্কিন সন্ত্রাসবাদী' নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের জাতীয় সংবাদ মাধ্যম। পশ্চিম ইরাকের আইন আল-আসাদ এবং ইরবিল সেনাঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। কমেপক্ষে ছ'টি হামলা চালানো হয় বলে খবর। গত শুক্রবার মার্কিন সেনার এয়ারস্ট্রাইকে ইরানের কমান্ডার সোলেইমানি নিহত হন। এদিনের হামলাকে এর বদলা বলেই জানিয়েছে তেহরান। এই হামলার পর সোলেইমানি কবরে শান্তিতে থাকবেন বলে জানানো হয় ইরানী জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে। এরপরও প্রত্যাঘাত হলে ইরানের তরফে আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, 'আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে যে কোনও আগ্রাসনের প্রচেষ্টার কড়া জবাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের নিয়মাবলী মেনেই যে ফৌজি ঘাঁটিগুলি থেকে সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছিল, সেখানে আমরা হামলা চালিয়েছি।' ক্ষেপনাস্ত্র হামলার পাল্টা আমেরিকা আক্রমণ করেলে মধ্য প্রাচ্যে 'অল আউট' যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হুসেন রৌহানি।
আরও পড়ুন: ‘ইরানের ৫২ জায়গায় হামলা হবে’, তেহরানকে চরম হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
তেহরানের হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একটি টুইট করেন। তিনি লিখেছ্ন, “অল ইজ ওয়েল। ইরাকের দু’টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে সব ঠিক আছে। আমাদের সেনা, বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক।” এর আগে ইরানকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, আমেরিকা বা মার্কিনিদের উপর আক্রমণ করলে ইরানের ৫২টি জায়গায় সামরিক হামলা চালানো হবে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের তরফে পর্যটন পরামর্শ জারি করা হয়েছে। ফের বিজ্ঞপ্তির আগে ভারতীয়দের জরুরি কাজ ছাড়া ইরাকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়াকে ইরাক, ইরান-সহ মধ্যপ্রাচ্য, পারস্য উপসাগরের আকাশ পথ ব্যবহারে সতর্ক করা হয়েছে।
Read the full story in English