মণিপুরের অনেক বিজেপি বিধায়ক প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দিল্লি পৌঁছেছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী রাজ্যের কাছে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিপ্তে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা জানিয়েছেন, তাঁর রাজ্যে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষজনরা একেবারে নিরাপদে রয়েছেন। সরকার তাদের নিরাপত্তার সবরকম ব্যবস্থা করেছে।
মণিপুরে হিংসায় বাস্তুচ্যুত কুকি সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ পড়শি রাজ্য মিজোরামে পৌঁছেছেন। মেইতি সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বিধায়ক ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছেছেন, যেখানে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এই বিধায়কদের বৈঠকের আগে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছেন। যদি রিপোর্টগুলি বিশ্বাস করা হয়, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে পারেন।
রবিবার, ইম্ফলের বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান এবং মণিপুর হিংসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। বিক্ষোভকারীরা রেডিও ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। তাদের একটাই দাবি 'মন কি বাত' নয়, মণিপুরের কথা বলুন'।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, 'আমি দুপুর ১২:৩০ নাগাদ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, মণিপুরের হিংসা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে । সমস্যা সমাধানে সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি যে আমরা মিজোরামের মানুষ মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরকার ও এনজিওগুলোর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে'।
উল্লেখ্য, মণিপুর হিংসায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে। গত ৩রা মে মণিপুরে হিংসা শুরু হয়, তারপর থেকে রাজ্যে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বিপুল সংখ্যক লোক আহত হয়েছেন।