জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে জানালেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। এই পদক্ষেপের জেরে দেশের পশ্চিমের প্রতিবেশি দেশের ছায়াযুদ্ধের খেলা ভেস্তে গিয়েছে বলে জানান সে প্রধান। ৭২তম সেনা দিবস উপলক্ষে নয়া দিল্লিতে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারাভানে। সন্ত্রাসবাদ দমনে সেনা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে বলে জানান তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের ক্ষমতা সেনাবাহিনীর রয়েছে বলে ঘোষণা করেন নারাভানে।
ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিলের নেতৃত্বে প্যারেড।
এদিন সেনাপ্রধান নারাভানে বলেন, '৩৭০ ধারা বিলোপ ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এতেই দেশের পশ্চিমের প্রতিবেশি দেশের ছায়াযুদ্ধের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। উপত্যকাকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তোলার পথেও এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।' সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও এদিন মুখ খোলেন সেনাপ্রধান। বলেন, 'কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্ত নীতি মেনে চলা হচ্ছে।'
সেনা দিবসে বিশেষ প্রদর্শন।
সীমান্তে পাকিস্তান, চিনের সেনাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বাহিনীর জন্য অচিরেই অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনার কথা সেনা দিবসে বলেন নারাভানে। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, সন্ত্রাসের উৎসে যে কোনও সময় আঘাতের অধিকার ভারতের রয়েছে।
সেনা দিবস উপলক্ষে প্রদানমন্ত্রী মোদী এদিন টুইটে লেখেন, 'ভারতের সেনাবাহিনী সাহস ও পেশাদারিত্বের জন্য পরিচিত। এছাড়াও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও সম্মানিত আমাদের সেনা। মানুষের প্রয়োজনে যতটা সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তারা।' সেনার জন্য তিনি 'গর্বিত' বলেও টুইটে লেখেন মোদী।
রাষ্ট্রপতি রামমাথ কোবিন্দ টুইটে জানান, 'সেনা দেশের গর্ব। দেশের সার্বভৌমত্ব সেনার অপরিসীম আত্মত্যাগ মধ্যে দিয়েই সুরক্ষিত রয়েছে। দেশকে গৌরবান্বিত করে মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে সেনা। জয় হিন্দ।'
Read the full story in English